UsharAlo logo
বুধবার, ৬ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২১শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যশোরে ছুরিকাঘাতে জামায়াত কর্মী নিহত

usharalodesk
নভেম্বর ৫, ২০২৪ ১:৩৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো রিপোর্ট : যশোরে দুবৃর্ত্তদের ছুরিকাঘাতে শান্তি-শৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি ও জামায়াত কর্মী আমিনুর সজল মুন্সি (৪২) নিহত হয়েছেন। সোমবার সন্ধ্যায় শহরতলী খোলাডাঙ্গা গাজীরবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আমিনুর সজল খোলাডাঙ্গা সারগোডাউন মুন্সিপাড়ার আজিজুর ইসলাম মিন্টুর ছেলে ও স্থানীয় ওয়ার্ড জামায়াতের কর্মী ছিলেন।

জানা যায়, সম্প্রতি গাজির বাজারে শান্তি-শৃঙ্খলা কমিটি গঠন হয়। এই কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন সজল। কমিটি গঠন করা নিয়ে তার প্রতিদ্বন্দ্বীরা এই হত্যাকাণ্ড ঘটাতে পারে বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে।

নিহতের স্বজনেরা জানান, শহরের ধর্মতলা সার গোডাউনের সামনে আমিনুর সজলের স্যানিটারি দোকান রয়েছে। মাগরিবের নামাজ পড়ার উদ্দেশে দোকান থেকে বাজারের পাশেই মসজিদে যাচ্ছিলেন সজল। পথিমধ্যে কয়েকজন মোটরসাইকেলযোগে এসে সজলকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। এ সময় তার চিৎকার শুনে পথচারী ও অন্য ব্যবসায়ীরা এসে সজলকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত সজলের ৮ বছর বয়সি একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।

গাজির বাজার ব্যবসায়ী ও নিহতের ভাগ্নে আব্দুর রহমান বলেন, ‘সম্প্রতি গাজীর বাজারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে সব ব্যবসায়ীদের মতামতের ভিত্তিতে কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন আমিনুর সজল মুন্সি। তবে একই এলাকার কামরুল ওরফে খোড়া কামরুল এই কমিটির বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। কমিটি করা নিয়ে এর আগেও তিনি ঝামেলা সৃষ্টি করেন। সভাপতির সঙ্গে তার পূর্ব বিরোধ ছিলো। সম্প্রতি কামরুল জেল থেকে মুক্তি পেয়েছে। মুক্তি পেয়েই প্রতিশোধ নিতে এই হত্যাকাণ্ড ঘটাতে পারে বলে আমরা ধারণা করছি।’

যশোর কোতয়ালী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) কাজী বাবুল হোসেন বলেন, নিহতের শরীরে একাধিক জায়গায় ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। স্বজনদের অভিযোগ, স্থানীয় কিছু লোকের সঙ্গে তার পূর্ব বিরোধ ছিলো। পুলিশ বিষয়টির তদন্ত শুরু করেছে। তদন্ত শেষেই বিস্তারিত বলা যাবে।

এদিকে আমিনুর সজল মুন্সিসহ গত এক মাসে যশোরে অন্তত ৯টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়াও বেড়েছে চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, লুটপাট, সহিংসতা, হামলার ঘটনা।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিষ্ক্রিয়তায় বেড়েছে এসব অপরাধ প্রবণতা। এতে জনমনে বিরাজ করছে চরম আতংক। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন অনেকেই। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি ভুক্তভোগীদের।

ঊষার আলো-এসএ