ইরান-যুক্তরাষ্ট্র পরোক্ষ সংলাপের পরবর্তী পর্ব ওমানের রাজধানী মাসকটে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে তেহরান। একই সঙ্গে এই আলোচনার মূল বিষয় হবে ‘পারমাণবিক ইস্যু ও নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার’ বলেও উল্লেখ করেছে দেশটি।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাগাই সোমবার তেহরানে অনুষ্ঠিত সাপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, আলোচনার পরবর্তী রাউন্ড মাসকটে অনুষ্ঠিত হবে এবং এটি হবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরোক্ষ আলোচনা।
বাগাইয়ের ভাষায়, ‘এই আলোচনার উদ্দেশ্য হলো পারমাণবিক কর্মসূচি ও নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া। আমরা বিশ্বাস করি এবং এটাই বাস্তবতা যে, এই দমনমূলক নিষেধাজ্ঞাগুলোর কোনো ভিত্তি নেই’।
পারমাণবিক কর্মসূচি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইরানের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে উদ্বেগের কোনো কারণ নেই। তবুও এ নিয়ে বিগত কয়েক দশকে যেসব নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে- সেগুলো অবৈধ, অন্যায্য ও নিষ্ঠুর।
ইরানী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানান, দুই দেশের একটি বিশেষজ্ঞ পর্যায়ের কারিগরি বৈঠক মাসকটে অনুষ্ঠিত হবে। উচ্চপর্যায়ের এই বৈঠকটি উইটকফ ও আরাগচির মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, মাসকটে বুধবার যে বিশেষজ্ঞ পর্যায়ের বৈঠকটি হবে, সেটিতে উভয় পক্ষের অবস্থান বিস্তারিতভাবে আলোচিত হবে।
এদিকে রিয়াদের (সৌদি আরবের) ভূমিকা সম্পর্কে প্রশ্নের উত্তরে বাগাঈ বলেন, ‘আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক সদ্ভাবনামূলক নীতির ওপর ভিত্তি করে গঠিত। আমরা আঞ্চলিক সব দেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ বজায় রেখেছি এবং এসব পরামর্শ ও সংলাপ চলতে থাকবে’।
চীন ও রাশিয়ার প্রসঙ্গে ইরানী মুখপাত্র বলেন, ‘তারা জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য এবং ইরানের দীর্ঘদিনের বন্ধু ও অংশীদার। তারা সবসময় এই আলোচনায় সম্পৃক্ত থেকেছে’।
ঊষার আলো-এসএ