ঊষার আলো রিপোর্ট : সাতক্ষীরা সীমান্তের ইছামতী নদী থেকে উদ্ধার হওয়া নিহত নারীর পরিচয় মিলেছে। তিনি সাতক্ষীরার দেবহাটার উপজেলা হাড়দ্দাহ গ্রামের রফিকুল ইসলামের স্ত্রী ও সদর উপজেলার আলীপুর গ্রামের জমির উদ্দীনের মেয়ে মোসলেমা খাতুন (২৫)।
নিহত নারীর স্বজনরা দেবহাটা থানায় গিয়ে মৃতদেহটি দেখে শনাক্ত করেছেন।
নিহত মোসলেমার মা শাহীদা খাতুন অভিযোগ করেন, যৌতুকের দাবিতে তার স্বামী মেয়ের হাত-পা ও মাথা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে টুকরো টুকরো করে হত্যা করেছেন।
তিনি বলেন, সাতক্ষীরা সদরের লক্ষীদাড়ি গ্রামের শহীদুলের সঙ্গে মোসলেমার ১০ বছর আগে বিয়ে হয়। শহীদুল মারা যাওয়ায় ২০১৯ সালের মে মাসে মোসলেমার বিয়ে হয় সদর উপজেলার হাড়দ্দহা গ্রামের বাবুরালীর ছেলে রফিকুলের সঙ্গে। বিয়ের পর থেকে স্ত্রীর উপর নির্যাতন করার কারনে গত মার্চ মাসে মোসলেমা তার স্বামীকে তালাক দিয়ে বিদেশে যান। রফিকুল তার সন্তানকে হত্যার হুমকি দিয়ে মোসলেমাকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনে গত শনিবার। রোববার তিনি মেয়েকে দেখতে গেলে দেখা করতে দেননি রফিকুল ও তার বাড়ির লোকজন।
এ ঘটনায় নিহতের পরিবার সাতক্ষীরা সদর থানায় ২৯ জুন মঙ্গলবার রাতে রফিকুলসহ ৫ জনকে আসামি করে অভিযোগ দায়ের করে।
এর আগে ২৮ জুন সোমবার দুপুরে মোসলেমার মৃতদেহ ইছামতী নদী থেকে উদ্ধার করেন দেবহাটা থানা পুলিশ। পরে তার ২টি কাটা পা উদ্ধার করা হয়।
সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দেলোয়ার হুসেন বলেছেন, এ ঘটনায় এখনো তদন্ত চলছে। মঙ্গলবার বিকেলে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে মোসলেমার মৃতদেহ তার স্বজনদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। মৃতদেহের অবশিষ্ট অংশ উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে পরে সংবাদ সম্মেলন করে বলা হবে।
(ঊষার আলো- এম.এইচ)