ঊষার আলো রিপোর্ট : ‘শিশু বক্তা’ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া রফিকুল ইসলাম মাদানীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। রাষ্ট্রবিরোধী, উসকানিমূলক ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে ৭ এপ্রিল বুধবার দুপুরে নেত্রকোনর নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আটকের পর র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে নানা তথ্য দিয়েছে তিনি। র্যাব সদর দফতরের গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে জানা গেছে, রফিকুল ইসলামকে আটকের পরপরই তার মোবাইল ফোন চেক করেন র্যাব। এ সময়ে তার মোবাইলে একাধিক পর্নো ভিডিও পাওয়া গেছে। কিছু বিদেশি পর্নো ভিডিও পাওয়া যায় যা ডাউনলোড করা এবং তার মোবাইলের ব্রাউজার চেক করে দেখা যায় নিয়মিত তিনি পর্নো সার্চ করে দেখতেন।
জিজ্ঞাসাবাদের রফিকুল বলেন, ২০১৯ সালে নিজের ভাবির এক চাচাতো বোনকে মুখে মুখে কবুল বলে বিয়ে করেছিলেন রফিকুল ইসলাম মাদানী। তবে সেই বিয়ের কথা ২ পরিবারের কেউই জানত না। তিনি সে বিয়ের কাবিন বা সাক্ষী সম্পর্কেও স্পষ্ট তথ্য দিতে পারেননি । ৬ এপ্রিল মঙ্গলবার তার পরিবারের লোকজন বিয়ের ব্যাপারে কথা বলতে ওই মেয়ের বাসায় গিয়েছিলেন। কিন্তু মেয়ে দেখে পছন্দ না হওয়ায় রফিকুলের পরিবারের লোকজনের বিয়েতে মত দেননি। এরপর ওই মেয়ের মেসেঞ্জারে রফিকুল লেখেন- ‘প্রয়োজনে ১০ বছর হলেও অপেক্ষা করে তোমাকে বিয়ে করব।
এদিকে তার মোবাইল ফোনে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কুৎসা, কটূক্তিমূলক বক্তব্য, ভিডিও ও ফেসবুক কনটেন্ট পেয়েছে র্যাব।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে তদন্ত সংশ্লিষ্ট র্যাব কর্মকর্তারা বলেছেন, রফিকুল ইসলামরা ৫ ভাই। তিনি সবার ছোট। তার বাবার নাম মৃত শাহাবুদ্দিন। রফিকুল নেত্রকোনার মালনী এলাকায় জামিয়া ইসলামিয়া হুসাইনিয়া মাদরাসায় অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ে ঢাকায় চলে আসে। ঢাকার বারিধারার জামিয়া মাদানীয়া মাদরাসায় পড়াশোনা করে। খর্বাকৃতির শারীরিক গঠন হলেও তার বয়স প্রায় ২৬-২৭ বছর। খর্বাকৃতির কারণে রফিকুল ইসলাম ‘শিশু বক্তা’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
তার বিরুদ্ধে মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানিয়েছে তদন্ত সংশ্লিষ্ট র্যাব কর্মকর্তারা।
(ঊষার আলো- এম.এইচ)