ঊষার আলো রিপোর্ট : এবারের রমজানকে সামনে রেখে কমতে শুরু করেছে নিত্যপণ্যের দাম। আন্তর্জাতিক বাজারে বুকিং রেট কমায় পাইকারি বাজারে পড়তে শুরু করেছে ভোজ্যতেলের দাম। বোতলজাত ছাড়া অন্যান্য ভোজ্যতেলের দাম কমেছে ৩ থেকে ৪ টাকা পর্যন্ত। পাইকাররা বলছে, পর্যাপ্ত মজুত ও সরবরাহের ফলে ছোলা ও চিনির দামও কমেছে কেজিতে ২-৩ টাকা পর্যন্ত। আর বাজারে দেশি পেঁয়াজের আধিপত্যে দামও রয়েছে নিয়ন্ত্রণে।
হঠাৎ করেই সরবরাহ সংকট দেখিয়ে মূল্যবৃদ্ধি! সিন্ডিকেটের অজুহাত! আকাশচুম্বী দামে ভোক্তাদের নাভিশ্বাস। প্রতি বছর রমজান আসলেই নিত্যপণ্যের বাজারের নিয়মিত দৃশ্য দেখা যায় প্রতিটি জিনিসের দাম বৃদ্ধি পেতে। তবে ব্যতিক্রম শুধু এ বছরই।
দাম বেঁধে দিয়েও গত কয়েক মাসে নিয়ন্ত্রণে আসেনি ভোজ্যতেলের বাজার। তবে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমায় রোজার আগেই ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে ভোজ্যতেলের দরে। সপ্তাহের ব্যবধানে খোলা সয়াবিন কেজিতে ৩-৪ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১২৫ থেকে ১২৬ টাকায়। পামওয়েল বিক্রি হচ্ছে ১১৫ এবং সুপার সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ১১৮ থেকে ১২০ টাকায়।
গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ২-৩ টাকা কমে পাইকারিতে ছোলা মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৬৫ টাকা দরে। খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। ৫০ কেজি চিনির বস্তা বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ১৪০ টাকায়।
দেশীয় পেঁয়াজের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় এবার রমজানে সংকটের কোনো আশঙ্কা দেখছে না পাইকাররা। সপ্তাহের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৩০ টাকা থেকে কমে বিক্রি হচ্ছে ২৭ টাকায়। তবে সরবরাহ কম থাকায় কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকার মতো বেড়েছে চায়না আদা। দেশি রসুনের দামও বেড়েছে।
তবে কেরালা আদা বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজিতে। আর প্রতি কেজি চায়না রসুন বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকায়।
(ঊষার আলো- এম.এইচ)