ঊষার আলো রিপের্ট : গভীর রাতে পথচারীর বেশে বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরে ঘুরে অন্ধকার ও সুবিধাজনক ভবন টার্গেট করে। তারপর সুযোগ বুঝে গ্রিল কেটে ভেতরে ঢুকে টাকা-পয়সাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করে। এমন অভিনব কায়দায় একটি চক্র রাজধানীতে চুরি করে আসছিল দীর্ঘদিন ধরে। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি লাফজ হালাল পারফিউম নামে একটি প্রতিষ্ঠানের ৬৫ লাখ টাকা চুরির ঘটনায় বনানী থানার মামলা তদন্ত করতে গিয়ে এ চক্রের ৪ সদস্যকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান টিম। উদ্ধার করেছে চুরি হওয়া ৩৯ লাখ টাকাসহ ৪ টি মোটরসাইকেল।
১৩ ফেব্রুয়ারি ভোর সাড়ে ৫টা। আশপাশের চারপাশ জনমানবহীন। বনানীর ১৩ নম্বর রোডের লাফজ হালাল পারফিউমের দ্বিতীয় তলায় জানালার গ্রিল কেটে ভেতরে প্রবেশ করে চোর চক্রের সদস্য সোহেল খান ও রহিম। কোনো ধরনের শব্দ ছাড়া গ্রিল কাটতে ব্যবহার করা হয়েছে বিশেষ এক ধরনের রেঞ্জ। আর নিচে পাহারার দায়িত্বে থাকেন সোহেল নামে আরেক সদস্য। অফিসের ভল্টের তালা ভেঙে ৬৫ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায় তারা।
এ ঘটনায় বনানী থানায় করা মামলায় তদন্তে নেমে ডিবি পুলিশের গুলশান বিভাগ টিম শেরপুর ও নেত্রকোনায় অভিযান চালিয়ে ৩ সদস্যসহ সোহেলের স্ত্রীকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অপরাধীরা চুরির কথা স্বীকার করে, টাকা ৬৫ লাখ টাকা চুরির পর বিভিন্ন অঙ্কে টাকা ভাগাভাগি হয়ে যায় তাদের ভিতরে। ওই টাকা দিয়ে মোটরসাইকেল কেনাসহ চুরির টাকায় সদ্য বিয়ে করাসহ স্ত্রীর নামে ১০ লাখ টাকা এফডিআর করেন সোহেল।
সোহেল খান বলেছেন, গ্রিল ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করি। পরে সিন্দুক ভেঙে ৬৫ লাখ টাকা নিয়ে যাই। আমি নিই ২৮ লাখ, সোহেল নেয় ২৮ লাখ, রহিম নেয় ৪ লাখ ও রহিমের দুলাভাই নিয়েছে ২ লাখ।
এমন ঘটনা রোধে রাজধানীর বাসাবাড়ির ভবনের চারপাশে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর পরামর্শ ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তারের। তিনি বলেছেন, ইতিমধ্যে আমরা অনেক চোরের দল আটক করেছি। তাদের কাছ থেকে নগদ টাকা উদ্ধার করেছি। রাজধানীর বাসাবাড়ি যদি সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়। তাহলে মামলা ডিটেকশন করতে সুবিধা হবে আমাদের।
সম্প্রতি, রাজধানীর বনানী এলাকায় জানালার গ্রিল কেটে চুরির আরো ৩টি ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
(ঊষার আলো-এম.এইচ)