মোঃ মেহেদী হাসান, মণিরামপুর : প্রতিদিন বিকেল তিনটার মধ্যে হাসপাতাল ছেড়ে যান চিকিৎসক, স্টাফসহ অন্যরা। খোলা থাকে শুধু জরুরি বিভাগ। সেখানে একজন চিকিৎসক, একজন উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ও একজন ওয়ার্ড বয় দায়িত্বে থাকেন। সন্ধ্যায় আসেন নৈশ প্রহরী। উপরে থাকেন রোগী ও তাঁদের স্বজনরা। একটু রাত করে যারা মণিরামপুর হাসপাতালে যান তারা নৈশ প্রহরীর দেখা পাননা কোন দিন। রাত গভীর হলে ফাঁকা থাকে জরুরি বিভাগও। এই সময়টা কয়েকটি কুকুরের দখলে থাকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে বা পুরো বারান্দা। বিকেল তিনটার দিকে হাসপাতাল ছুটির পরপরই কয়েকটি কুকুর বারান্দায় অবস্থান নেয়। মাঝেমধ্যে কিছু সময়ের জন্য আবার বারান্দা ছেড়ে তারা বাইরে অবস্থান করে। মোটামুটি রাত সাড়ে দশটা বা ১১টায় হাসপাতালে ঢুকলে বারান্দায় ৫-৭টি কুকুর শুয়ে থাকতে দেখা যায়।
গেল শনিবার থেকে সোমবার দুইদিন রাত ১১টার পরে হাসপাতালের বারান্দায় এবং জরুরি বিভাগের সামনে কয়েকটি কুকুর শুয়ে থাকতে দেখা গেছে। সোমবার (২৬ জুলাই) বিকেল সাড়ে চারটার দিকেও বারান্দায় কুকুরের অবস্থান দেখা গেছে। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্বেচ্ছাসেবি বলেন, করোনাকালীন প্রতিদিন রাত ১২টা পর্যন্ত একাধিকবার হাসপাতালে রোগীদের খবর নিতে যাওয়া লাগে। প্রায়ই বিকেলে বা রাতে বারান্দায় কুকুর শুয়ে থাকতে দেখি। কোন রাতে নৈশ প্রহরীর দেখা পাইনি। তবে এই ব্যাপারে নৈশ প্রহরী শাহাবুদ্দিনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শুভ্রারানী দেবনাথ বলেন, কুকুর সবসময় বারান্দায় ওঠে। আমরা চিকিৎসক, নার্স ও স্টাফরা কুকুর তাড়াই। আমিও কয়েকদিন তাড়িয়েছি। ডা. শুভ্রা বলেন, নৈশপ্রহরী শাহাবুদ্দিনের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ। সে ঠিকমত ডিউটি করে না। তার বিরুদ্ধে সিভিল সার্জন অফিসেও অভিযোগ জমা আছে। এসব কারণে তার বেতন বোনাস মাঝেমধ্যে বন্ধ থাকে।
(ঊষার আলো-এমএনএস)