UsharAlo logo
রবিবার, ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাবি ছাত্রলীগে সংঘর্ষ অস্ত্রের মহড়া

usharalodesk
মে ১৩, ২০২৪ ১১:০৫ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো রিপোর্ট : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) গেস্টরুমে বসাকে কেন্দ্র করে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের দুপক্ষের সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। শনিবার রাত ১০টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলে রাত ৩টা পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে। পরে বিশ্ববিদ্যালয় ও পুলিশ সেখানে গিয়ে দুই পক্ষকে সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাত ৯টার দিকে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের গেস্টরুমে বসে সাংগঠনিক আলোচনা করছিলেন ওই হল শাখার সহসভাপতি ও দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা আতিকুর রহমানসহ প্রায় ২০ জন নেতাকর্মী। তিনি রাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর অনুসারী। আলোচনাকালে শাখা ছাত্রলীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মোর্শেদ কয়েকজন অনুসারীকে নিয়ে এসে কিছুক্ষণের জন্য তাদেরকে গেস্টরুম ছেড়ে দিতে বলেন। এ নিয়ে দুপক্ষের মাঝে বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে সেটি সংঘর্ষে রূপ নেয়।

সরেজমিন দেখা যায়, সংঘর্ষ শুরু হলে বিভিন্ন হল থেকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা লাঠি, রড, রামদা, চাপাতিসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র হাতে তাতে অংশ নেয়। এ সময় শাখা ছাত্রলীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মোর্শেদের অনুসারীরা হলের ভেতরে এবং বর্তমান কমিটির নেতাকর্মীরা হলের বাইরে অবস্থান নিয়ে এক পক্ষ অন্য পক্ষকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ে। এ সময় ৬-৭টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে। দফায় দফায় এ সংঘর্ষ চলার একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম (প্রশাসন) এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক হুমায়ুন কবীর (শিক্ষা), প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম সাঊদ, হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন, মতিহার থানার ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মধুসূদন রায়সহ বিশ্ববিদ্যালয় ও পুলিশ প্রশাসনের অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত হন। তারা পরিস্থিতি শান্ত করে রাত ৩টার দিকে হলের ভেতরে অভিযান পরিচালনা করেন।

সোহরাওয়ার্দী হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমরা চেষ্টা করেছি প্রতিটি কক্ষে প্রবেশ করে তল্লাশি করার। হলে কোনো দেশীয় অস্ত্র পাইনি। কোনো বহিরাগত পাওয়া যায়নি।

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। যেখানে দেশীয় অস্ত্রের কথাও শুনেছি। কিন্তু আমরা যখন হলের বিভিন্ন কক্ষে প্রবেশ করি, তখন কোনো অস্ত্রের নমুনা পাইনি। আমরা উপস্থিত হওয়ার পর দুর্ঘটনা এড়াতে তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

ঊষার আলো-এসএ