UsharAlo logo
শুক্রবার, ৬ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২১শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রিকশা চালকের আক্ষেপ ‘লকডাউন নয়, তিন বেলা খেতে চাই’

usharalodesk
এপ্রিল ৫, ২০২১ ১০:৪১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো ডেস্ক : গাজীপুর জেলার শ্রীপুরের রিকশা চালক আবু বকর বলেন, আমরা লকডাউন চাই না আমরা তিন বেলা খেয়ে পড়ে বাঁচতে চাই। রিকশা চালানোর উপার্জনেই আমার সংসার চলে। এক দিন চাল না কিনলে ঘরে চুলা জ্বলে না। পাঁচজনের সংসারে দৈনিক তিনশ’ থেকে চারশ’ টাকা খরচ হয়। এছাড়া ঘর ভাড়া, বিদ্যুৎ বিল ও এনজিওর কিস্তি তো আছেই। বসে থাকলে কেউ খাবার দিবে না। করোনার ঝুঁকি থাকলেও রিকশা নিয়ে আমাকে বের হতেই হবে। না হলে পরিবারের সবাই না খেয়ে থাকবে। সন্তানদের মুখে খাবার দিতে না পারলে খুবই কষ্ট হয়।
রিকশা চালক আবু বকরের বয়স ৪৩ বছর। বাড়ি নেত্রকোনায় হলেও জীবিকার তাগিদে রিকশা চালান গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায়। স্কুল পড়ুয়া তিন সন্তান নিয়ে সংসারে দিন এনে দিন খাওয়ার অবস্থা তার। একটিমাত্র রিকশাই তার আয়ের উৎস, কিন্তু সেটাও এনজিও থেকে কিস্তিতে কেনা। সরকার ঘোষিত লকডাউনেও তিনি রিকশা নিয়ে বের হয়েছেন।
এদিকে, সরকার ঘোষিত লকডাউনে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানচলাচল ছিল স্বাভাবিক। ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গগামী দূরপাল্লার গণপরিবহন সকাল থেকেই চলতে দেখা গিয়েছে। দূরপাল্লার কাউন্টার বাসে স্বাস্থ্যবিধি লক্ষ্য করা গেলেও দুরপাল্লার লোকাল বাসে স্বাস্থ্যবিধি লক্ষ্য করা যায়নি।
অপরদিকে, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে দূরপাল্লার ও স্বল্প দূরত্বের গণপরিবহনগুলো সীমিত আকারে চলতে দেখা গেলেও বাসগুলোতে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বড় যানের পাশাপাশি ছোট যানগুলোও চলতে দেখা গেছে।
জেলার বিভিন্ন উপজেলার শপিংমলের ফটক বন্ধ থাকলেও ভেতরের দোকানপাট খোলা ছিল। সড়ক আঞ্চলিক সড়কগুলোতে স্বল্প দূরত্বে লোকাল বাস না চললেও সকাল থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, সিএনজি ও লেগুনা চলাচল করতে দেখা গেছে। সব জায়গায় ছিল মানুষের ভিড়। জনমনে যেন কোনো প্রভাব নেই লকডাউনের।
তবে শিল্পাঞ্চল খ্যাত গাজীপুরে লকডাউনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজে যোগ দিয়েছে শিল্প-কারখানার শ্রমিকরা। সকাল থেকে শ্রমিকরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিল্প-কারখানায় প্রবেশ করেছে। কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের প্রবেশমুখে সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদেরকে প্রবেশ করাচ্ছেন। তবে স্বল্প দূরত্বের পরিবহন কিছুটা কম থাকায় কারখানা ও অফিস আদালতে যেতে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে শ্রমিকসহ স্বল্পদূরত্বের যাত্রীদের।
গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক মামুন সরদার বলেন, ‘লকডাউনে আমরা ভ্রাম্যমাণ আদালত নিয়ে মাঠে রয়েছি। আইন অমান্যকারীদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তবে সবাইকে সামাজিকভাবে সচেতন হওয়ার পরামর্শ তার।’

(ঊষার আলো-এমএনএস)