UsharAlo logo
সোমবার, ১৯শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রোনাল্ডো আর আমি যা করেছি, তা অনেক বেশি কৃতিত্বের দাবিদার: মেসি

ক্রীড়া ডেস্ক
মে ১৮, ২০২৫ ৪:২২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ফুটবল ইতিহাসে এমন দ্বৈরথ দেখা যায়নি আর কখনো। লিওনেল মেসি আর ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো এমনই এক লড়াই ফুটবলকে উপহার দিয়েছেন একটা লম্বা সময় ধরে। এক যুগেরও বেশি সময় ধরে এই দুই তারকা কাঁপিয়েছেন ইউরোপিয়ান ফুটবল। আধিপত্য করেছেন ব্যালন ডি’অরের মঞ্চেও। এখন ক্যারিয়ারের শেষ ধাপে পৌঁছে পুরোনো দিনগুলোর কথা মনে করেছেন মেসি।

ইউরোপীয় যাত্রা সাঙ্গ করে মেসি আর রোনাল্ডো দুজনই এখন খেলছেন ইউরোপের বাইরে। যথাক্রমে ইন্টার মায়ামি ও আল নাসরে খেলছেন তারা। এখন আর ইউরোপের কেন্দ্রবিন্দুতে নেই দুজনে। তবে পারস্পরিক শ্রদ্ধাটা রয়ে গেছে এখনো। সেটাই ফুটে উঠল সম্প্রতি ফরাসি পত্রিকা লে’কিপের ব্যালন ডি’অর অ্যাকাউন্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে। মেসি স্মরণ করলেন তাদের দ্বৈত-শাসনের কথা।

মেসি বলেন, ‘এটা সবসময় একটা ‘লড়াই’ই ছিল, উদ্ধৃতি চিহ্ন দিয়ে বলতে হচ্ছে। তবে মাঠের খেলার হিসাব যদি করা হয়, তাহলে এটা সত্যিই সুন্দর ছিল। আমরা একে অপরকে আরও ভালো কিছু করার জন্য তাড়না দিয়েছি, কারণ আমরা দুজনেই খুবই প্রতিদ্বন্দ্বিতার মানসিকতা নিয়ে খেলেছি। ও সবকিছুতেই যে কোনো মূল্যে জিততে চাইত।’

রোনাল্ডোর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে ইতিবাচকভাবে দেখেন মেসি। তিনি বলেন, ‘আমাদের জন্য তো বটেই, যারা ফুটবল ভালোবাসেন তাদের জন্যও এটা ছিল এক দারুণ সময়। আমি মনে করি, আমরা এত দীর্ঘ সময় ধরে যা করেছি, সেটা অনেক কৃতিত্বের দাবিদার। যেমনটা একটা প্রবাদ আছে, উপরে ওঠা সহজ, কিন্তু টিকে থাকা কঠিন। আমরা ১০ থেকে ১৫ বছর ধরে শীর্ষে ছিলাম। এটা ছিল অবিশ্বাস্য এবং যারা ফুটবল উপভোগ করেন, তাদের জন্য দারুণ স্মৃতি।’

মেসি ও রোনাল্ডোর এই দ্বৈরথ শুধু মাঠে গোল বা শিরোপা জেতার লড়াই ছিল না, ব্যালন ডি’অর জেতার দিক দিয়েও প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল চরমে। ২০০৮ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে তারা মোট ১৩ বার এই পুরস্কার জিতেছেন। এর বাইরে শুধু লুকা মদরিচ (২০১৮) ও করিম বেনজেমা (২০২২) একবার করে এই শ্রেষ্ঠত্ব ভাঙতে পেরেছিলেন।

মেসির ঝুলিতে রয়েছে রেকর্ড ৮টি ব্যালন ডি’অর। রোনাল্ডো জিতেছেন ৫ বার। যদিও পরিসংখ্যানে মেসি এগিয়ে, তবে তিনি নিজের সাফল্যের চেয়ে তাদের দ্বৈত শাসনকেই বেশি গুরুত্ব দিলেন। তিনি বলেন, ‘আমরা একে অপরকে প্রতিনিয়ত আরও ভালো করতে বাধ্য করেছি। এটা একটা সোনালি যুগই ছিল, যেখানে আমাদের দুজনের পারফরম্যান্স দিয়ে ফুটবলের মান নির্ধারিত হতো।’

ঊষার আলো-এসএ