ঊষার আলো ডেক্স : অব্যাহত ভারি বর্ষণ আর উজানের পাহাড়ি ঢলে লালমনিরহাটের ১৩টি নদীর পানি বেড়ে গিয়েছে। নদীর উপকূলীয় নিম্নাঞ্চল গুলোও ধীরে ধীরে প্লাবিত হচ্ছে। আর পানি বাড়ার সাথে সাথে দেখা দিয়েছে তীব্র নদী ভাঙনও। গত ৭২ ঘণ্টায় তিস্তা, ধরলা, ভেটেশ্বর ও রত্নাই নদীর ভাঙনে ৬৩টি বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
এদিকে বেড়েই চলেছে তিস্তার পানি। পানি নিয়ন্ত্রণে আনতে পাউবো কর্তৃপক্ষ তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। তিস্তায় অস্বাভাবিক ভাবে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চরাঞ্চলবাসীকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবার্হী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শুক্রবার (১০ জুন) বিকেল ৩টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় অবস্থিত তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ১০ সেন্টিমিটার। যা বিপদসীমার ৫০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
স্থানীয়রা বলেন, শুকিয়ে যাওয়া মৃত প্রায় তিস্তা আবারও ফুলে ফেঁপে উঠেছে। পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম, হাতীবান্ধার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, সিংগিমারী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, কাকিনা, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী, সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুন্ডা ও ইউনিয়নের তিস্তা নদীর তীরবর্তী এলাকায় বন্যার আশংকা দেখা দিয়েছে।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান জানান, উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তার পানি প্রবাহ বেশ কিছুটা বেড়েছে। ব্যারাজ রক্ষার্থে সকল জলকপাট খুলে দিয়ে পানি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রতিবছর জুন মাসে বন্যা দেখা দেয়। তাই তিস্তা পাড়ের মানুষদেরকে সর্তক থাকতে বলা হয়েছে। এছাড়াও পানি বাড়ার সাথে সাথে নদী ভাঙন তীব্র হয়েছে বলে জানান তিনি ।
(ঊষার আলো-এসএইস)