UsharAlo logo
সোমবার, ৩০শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

লিঙ্গ ব্যবধানগত সূচকের শেষ সারিতে ভারত

usharalodesk
এপ্রিল ৮, ২০২১ ৯:১১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো ডেস্ক : ‘ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম’-এর ‘গ্লোবাল জেন্ডার গ্যাপ রিপোর্ট-২০২১’-এ একেবারে পিছনের সারিতে ভারত। লিঙ্গ ব্যবধানগত সূচকে (জেন্ডার গ্যাপ ইনডেক্স) ১৫৬টি দেশের মধ্যে ভারতের স্থান ১৪০।
২০২০ সালেই ১১২তম স্থানে ছিল ভারত। প্রকাশিত সূচকে পাকিস্তান ও আফগানিস্তান বাদে প্রতিবেশী সব দেশের স্থানই ভারতের ওপরে। সারা বিশ্বের প্রায় ৯৩ শতাংশ নারী ও পুরুষের মধ্যে অর্থনীতিতে অংশগ্রহণ, শিক্ষার্জন, রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়কে মাপকাঠি হিসাবে ধরে সমীক্ষা চালায় ‘ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম’।
এই সমীক্ষায় ভারতে উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে শ্রমক্ষেত্রে মহিলাদের অংশীদারিত্ব। অর্থনৈতিক যোগদান ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়নেও অনেকটাই পিছিয়ে মহিলারা। উল্লেখ্য, এই মাপদণ্ডগুলির প্রতিটি ক্ষেত্রেই চূড়ান্ত প্রভাব ফেলেছে ভারতে নারী পুরুষের বৈষম্য। ২০০৬ সালে প্রকাশিত বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের প্রথম লিঙ্গ বৈষম্য সংক্রান্ত রিপোর্টে তুলনায় কিছুটা ভালো, ৯৮তম স্থানে ছিল ভারত।
কিন্তু এরপর থেকে মূলত চারটি ক্ষেত্তে ভারতে পুরুষের তুলনায় নারী অগ্রগতির হার কমতে দেখা যায়। বৈশ্বিক লিঙ্গ সমতা সূচকে নারী ও পুরুষের বৈষম্য এবং বিভিন্ন সময় এ বৈষম্য দূরীকরণে দেশগুলোর অগ্রগতি তুলে ধরা হয়। মূলত চারটি ক্ষেত্র (স্বাস্থ্য ও গড় আয়ু, শিক্ষার সুযোগ, অর্থনীতিতে অংশগ্রহণ এবং রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন) নারী-পুরুষের বৈষম্য বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদন তৈরি করা হয়।
রাজনীতিতে নারীদের অংশগ্রহণের বিষয়টিতে ভারতের অবস্থান ভালো সূচকে ১৫তম অবস্থানে রয়েছে দেশটি। কিন্তু উপার্জন, শিক্ষা, কর্মক্ষেত্র ও সন্তান জন্মদানের ব্যাপারে বৈষম্য ভয়াবহ। তথাকথিত শিক্ষা, প্রযুক্তি, কারিগরি, অর্থনীতিতে আধুনিকতার জয়ধ্বজা ওড়ানো হলেও সমাজ মানসিকতায় ও সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গিতে ভারত নামক দেশটি বহু যুগ পেছনে পড়ে আছেতথাকথিত শিক্ষা, প্রযুক্তি, কারিগরি, অর্থনীতিতে আধুনিকতার জয়ধ্বজা ওড়ানো হলেও সমাজ মানসিকতায় ও সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গিতে ভারত নামক দেশটি বহু যুগ পেছনে পড়ে আছে তথাকথিত শিক্ষা, প্রযুক্তি, কারিগরি, অর্থনীতিতে আধুনিকতার জয়ধ্বজা ওড়ানো হলেও সমাজ মানসিকতায় ও সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গিতে ভারত নামক দেশটি বহু যুগ পেছনে পড়ে আছে।
পুরুষদের তুলনায় নারী জন্মের হারও অনেক কমেছে ভারতে পুরুষদের তুলনায় নারী জন্মের হারও অনেক কমেছে ভারতে। যেখানে প্রতিবছর ১, ০০০ ছেলে শিশু জন্ম নেয়, সেখানে মেয়ে শিশু জন্ম নেয় ৯১৮ জন। জন্মের আগেই অনেক কন্যা শিশুকে ভ্রূণ অবস্থায় হত্যা করা হয়, যাতে তারা পৃথিবীর আলো দেখতেই না পারে। শৈশবে শিশুকন্যারা পরিবারের মধ্যে বেশি অবহেলিত। তাদের শিক্ষার সুযোগ কম। তেমনি অর্থনৈতিক কাজকর্মে বা কর্মক্ষেত্রে অংশগ্রহণেও মহিলাদের জন্য হাজার প্রতিবন্ধকতা। একই কাজে যুক্ত পুরুষদের থেকে মহিলাদের মজুরি কম, অন্যান্য সুযোগ সুবিধাও কম পুরুষদের তুলনায় নারী জন্মের হারও অনেক কমেছে ভারতে। যেখানে প্রতিবছর ১, ০০০ ছেলে শিশু জন্ম নেয়, সেখানে মেয়ে শিশু জন্ম নেয় ৯১৮ জন।

(ঊষার আলো-এমএনএস)