UsharAlo logo
শনিবার, ২৮শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শ্রমিকদের অবরোধে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে দীর্ঘ যানজট

usharalodesk
নভেম্বর ৯, ২০২৪ ১:২৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো রিপোর্ট :  গাজীপুরে বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে মহানগরীর মালেকের বাড়ি এলাকায় টি অ্যান্ড জেড অ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে।

শনিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিক্ষোভ শুরু করে তারা। এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। সকাল থেকেই সড়ক অবরোধ থাকার কারণে শতশত কর্মজীবী মানুষ বিড়ম্বনায় পড়েন। ব্যস্ততম ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধের ফলে ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইলের দিকে এবং ঢাকার দিকে কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

গাজীপুর শিল্পপুলিশ ও শ্রমিকরা জানায়, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মালেকের বাড়ি এলাকায় টি অ্যান্ড জেড অ্যাপারেলস লিমিটেড নামের একটি পোশাক তৈরি কারখানা রয়েছে। ওই কারখানার শ্রমিকদের বেতন ভাতা না দিয়ে কর্তৃপক্ষ কারখানা বন্ধ রেখেছে।

বকেয়া বেতনের দাবিতে টি এন জেড গ্রুপের ৬টি কারখানার সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসের বেতন বকেয়া আছে। এ নিয়ে শ্রমিকরা দীর্ঘদিন ধরেই তাদের বেতন পরিশোধের দাবি জানিয়ে আসছিল। কিন্তু কারখানা কর্তৃপক্ষ তা পরিশোধ করেননি। পরে শনিবার সকালে শ্রমিকরা কারখানার সামনে জড়ো হতে থাকে। এক পর্যায়ে তারা মালেকের বাড়ি কলম্বিয়া মোড় এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে।

কারখানা শ্রমিক রবিউল হাসান বলেন, গত দুই মাস ধরে বেতন দিয়ে দিচ্ছি বললেও এখন পর্যন্ত বেতন ভাতা পাইনি। যার কারণে বাধ্য হয়েই রাস্তায় নামতে হয়েছে।

নাজমা আক্তার নামে অপরত শ্রমিক বলেন, গত এপ্রিল মাস থেকে কারখানা বন্ধ ছিল। সেপ্টেম্বর বাসায় কারখানা খুলল দুই মাসের বেতন না দিয়ে কর্তৃপক্ষ তালবাহানা করছে। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর মাধ্যমে বারবার বেতন পরিষদের তারিখ দিলেও কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের বেতন দিচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে সড়ক অবরোধ করতে হয়েছে।

স্থানীয় ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন বলেন, গত প্রায় এক মাস ধরে এই কারখানার শ্রমিকরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে। কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের বেতন সংক্রান্ত বিষয়টি সুরাহা করছে না। অবরোধের ফলে এই মহাসড়কে চলাচলকারী যাত্রী এবং পরিবহণ চালকদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

গাজীপুর শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খলিলুর রহমান বলেন, কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বেতন সংক্রান্ত সমস্যাটি সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।

ঊষার আলো-এসএ