UsharAlo logo
বুধবার, ২রা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ বাগরহাটে বেড়াত এসে বন্ধুর ঘের দখলের চষ্টা

pial
সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২২ ৩:২০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বাগরহাট প্রতিনিধি : বাগরহাটে বেড়াতে এসে বন্ধুর মাছের ঘের দখল করার চেষ্টার অভিযাগ উঠেছে ইমাম সোহাগ নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ঘের দখল নিতে ভাড়াটিয়া লোক দিয় ব্যবসায়ীক মারধরসহ নানাভাব হয়রানির করে চলেছে।

বুধবার বিকেলে বাগরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মলন করে ঘের মালিক মোঃ এনামুল কবির এ অভিযাগ করেন। এ সময় ইমাম সোহাগের মাধ্যম প্রতারিত আজমিরা বেগম নামের অপর এক ব্যবসায়ী এবং এনামুল কবিরের ভাই মোঃ নজরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। অবৈধ দখলকারী ইমাম সোহাগ বাগরহাট শহরতলীর দেওয়ান বাটি এলাকার বাসিদা। সে দীর্ঘদিন ধরে ঢাকায় বসবাস করেন। ক্ষতিগ্রস্থ মোঃ এনামুল কবির সঙবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য ও প্রশ্নের জবাবে বলেন ২০০৯ সাল থেকে আমি বাগরহাট সদর উপজলার রাধাভল্বব এলাকায় ২৫ বিঘা জমিতে যথানিয়মে মাছের ঘের করি।

২০২০ সালর প্রথম দিক পূর্ব পরিচিত দেয়াল বাড়ি এলাকার ইমাম সোহাগ একদিন আমার ঘেরে আসেন। নিজেকে সুপ্রিম কোর্টের অতিরিক্ত এ্যাটার্নী জেনারেলের পিএ পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কথা বলতেন। ঢাকায় থাকলেও সে মাঝে মাঝে বাগরহাটে আসত। বাগরহাট আসলেই সোহাগ আমার ঘেরে যেত। ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময় সোহাগ ঘেরের পার্টনার থাকার জন্য প্রস্তাব দেয়। রাজি না হলে, সে বিভিন্ন ধরণের চাপ প্রয়োগ করতে থাকে।

এক পর্যায় আমার ২৫ বিঘা জমির মধ্য থেকে মাত্র ২ বিঘা জমির মালিকদের ভুল বুঝিয়ে হারির টাকা দেয়। ওই মালিকদের কাছ থেকে একটি লিখিতও নেয় সোহাগ। এনামুল কবির সংবাদ সম্মলন আরও উল্লেখ করেন, চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে সে আমার পুরা ঘের দখলের চষ্টা করে। দখল যাওয়ার জন্য জোরপূর্বক ঘেরের মাছ ধরে নেওয়াসহ লোকদিয়া আমার উপর হামলাও করিয়েছে। সোহাগের ভাড়াটিয়া মাস্তান কাড়াপাড়া ইউনিয়নের মেজবাহ ও পঞ্চমালাv এলাকার জসিমকে দিয়া আমাকে মারধর করায়। এ ঘটনায় বাগরহাট মডল থানায় এবং বাগরহাট আদালতে একাধিক মামলা আছে।

গত ২০ সেপ্টেম্বর ভাড়াটিয়া মাস্তান দিয়ে সে আমার ঘেরের গই ঘর ভেঙ্গে ফেলে, ঘেরের মাছ মূল্যবান মাছ লুট করে নিয়ে যায়। বর্তমান তার ভাড়াটিয়া মাস্তানদের ভয়ে আমি ঘেরে যেতে পারছিনা। এই ঘের ছাড়া আমার আয়ের কোন পথ নেই, এই ঘের করতে না পারলে আমার পরিবার নিয়ে না খেয়ে মরতে হবে বলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন এই ব্যবসায়ী। সোহাগের প্রতারণার শিকার ব্যবসায়ী আজমিরা বেগম বলেন, মায়ের অসুস্থতার কথা বলে এবং একটি মামলার জামিন ও ভাইয়ের বিয়ের কথা বলে সোহাগ আমার কাছ থেকে সাড়ে ৪ লাখ টাকা নিয়েছে। জনি নামের এক গাড়ি চালককে দিয়ে সোহাগ আমার প্রাইভেট কারও চুরি করিয়ে ছিল। পুলিশ চেষ্টা করে আমার গাড়ি উদ্ধার করে দেয়।

আজমিরা আরও বলেন, সুপ্রিম কোর্টে চাকুরির সুবাদ সোহাগ অনেকের সাথেই প্রতারণা করেছে। অর্থ নেওয়ার বিষয় অস্বীকার করে ইমাম সোহাগ সাংবাদিকদের বলেন, এনামুল কবির যে সব অভিযাগ করেছে সব মিথ্যা ও বানায়াট। কবিরকে অনেক টাকা দিয়েছি , সে আমার পাওনা টাকা দেয়নি। আমি লোকজনের কাছ থেকে জমি ইজারা নিয়ে ঘের করছি। আমার ঘের দখলের চেষ্টা করছে কবির। ঘেরের জমির বিষয় আদালতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

(ঊষার আলো-এফএসপি)