UsharAlo logo
শনিবার, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্দি-কাশির সমস্যার সমাধান চকলেট

usharalodesk
সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২১ ৪:৪৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো ডেস্ক : তাপমাত্রার পরিবর্তনের ঘন ঘন ফলে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকেই। ঠান্ডা-গরমে জ্বর ও সর্দি-কাশির সমস্যায় ভুগছেনও অনেকে।

এসব সমস্যায় আমরা প্রায় সকলেই অ্যান্টিবায়টিক কিংবা কাফ সিরাপের দ্বারস্থ হই। তবে অ্যান্টিবায়টিকের প্রভাবে শরীরও দুর্বল হয়ে পড়ে। এবং কাফ সিরাপে খুসখুসে কাশি সারতেও বেশ সময় লেগে যায়। তাই আপনি যদি চকলেট ভালবাসেন আর বাড়িতে চকলেট থাকে, তবে অ্যান্টিবায়টিক বা কাফ সিরাপ না খেয়ে সর্দি-কাশির সমস্যায় চকলেট খান।

কারণ এমনটাই দাবি করেছেন একদল ব্রিটিশ গবেষক। ইংল্যান্ডের ‘ইউনিভার্সিটি অব হাল’-এর হৃদরোগ ও শ্বাসযন্ত্র বিভাগের প্রধান অ্যালিন মরিস জানিয়েছেন, সর্দি-কাশির সমস্যা নিরাময়ে ওষুধের অন্যতম একটি উপাদান কোকোয়া।

তার মতে, বাজারে উপলব্ধ ডার্ক চকলেটে কোকোয়ার পর্যাপ্ত উপস্থিতি সর্দি-কাশির সমস্যা নিরাময়ের ক্ষেত্রে সহজ এক সমাধান হতে পারে।

মরিসের মতে, চকলেটে থাকা কোকোয়ার মধ্যে থিওব্রমিন নামে একটি বিশেষ ধরনের উপাদান থাকে, যা খুসখুসে কাশির জন্য দায়ি পাতলা শ্লেষ্মাকে ঘন আঠালো আস্তরণে পরিণত করে থাকে। যার ফলে সমস্যা মিটে যায়। এছাড়া চকলেট গলার ভিতরে একটা আঠালো আস্তরণ তৈরি করে থাকে। যার ফলে আক্রান্ত স্নায়ুপ্রান্তগুলো ঢাকা পড়ে গলা খুসখুসের সমস্যা বন্ধ হয়ে যায়।

লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের বিজ্ঞানীদের মতে, সর্দি-কাশির ওষুধে ব্যবহৃত কোডিনের চেয়ে চকলেটে থাকা কোকোয়ায় সমস্যার আরও দ্রুত সমাধান হয়।

তাদের মতে, সাধারণ ওষুধের চেয়ে কোকোয়া বেশি আঠালো হয়ে থাকে। কাজে এটি গলার মধ্য তুলনামূলক পুরু আস্তরণ তৈরি করতে সক্ষম হয়। ফলে ৩৬ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সর্দি-কাশির সমস্যা অনেকটাই সেরে উঠে।

(ঊষার আলো-এফএসপি)