ঊষার আলো রিপোর্ট : সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার নলতায় অবস্থিত ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজিতে কোচিং না করায় ল্যাব বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. সোলাইমানকে ভয়াবহ নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে।শুক্রবার (১৩ মে) রাত সাড়ে ১০টায় ইনস্টিটিউটের পুরুষ হোস্টেলের ৪০৭ নম্বর রুমে এই নির্যাতনের ঘটনা ঘটে।
এসময় তার শরীরের বিভিন্ন অংশে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে থেতলে দেওয়া হয় এবং মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়।রাতেই তাকে অন্য শিক্ষার্থীরা উদ্ধার করে দেবহাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে।সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির রেডিওলজি বিভাগের গেস্ট টিচার সাঈদী হাসান ভাইভায় ফেল করিয়ে দেওয়া ও পরীক্ষার খাতায় লিখতে না দেওয়াসহ বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের তার কাছে কোচিং করতে বাধ্য করেন।
কিন্তু মো. সোলাইমান তার কাছে কোচিং না করায় শুক্রবার রাতে ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী নাহিদ হাসান ও রশিদ ইসলামকে দিয়ে তাকে পুরুষ হোস্টেলের ৪০৭ নম্বর রুমে ডেকে নিয়ে উপর্যুপরি পেটানো হয়।এসময় নাহিদ হাসান ও রশিদ ইসলামসহ আরও কয়েকজন মো. সোলাইমানের হাত পা মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে লোহার রড দিয়ে উপর্যুপরি পিটিয়ে থেতলে দেয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, মো. সোলাইমানের বাড়ি পটুয়াখালীর দাসপাদার এলাকায়। সে গতকালই হোস্টেলে আসে। রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাকে ৪০৭ নম্বর রুমে ডেকে নিয়ে ভয়াবহ নির্যাতন করা হয়।
তারা অভিযোগ করে আরও বলেন, গেস্ট টিচার সাঈদী হাসান ভাইভায় ফেল করিয়ে দেওয়া ও পরীক্ষার খাতায় লিখতে না দেওয়াসহ বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের তার কাছে কোচিং করতে বাধ্য করেন।এছাড়া পরীক্ষার সময় তাকে নগদ টাকাও দেওয়া লাগে শিক্ষার্থীদের। সোলাইমান তার কাছে কোচিং না করায় তাকে নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে।
ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির গেস্ট টিচার সাঈদী হাসানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।এ বিষয়ে ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির অধ্যক্ষ মো. ফারুকুজ্জামান বলেন, নির্যাতনের ঘটনাটি সত্য। এজন্য দ্রুতই তদন্ত কমিটি গঠন করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের অভিযোগগুলোও খতিয়ে দেখা হবে।
ঊষার আলো-এসএ