UsharAlo logo
শনিবার, ৭ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২২শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সালথায় সংঘর্ষের ঘটনায় আহত যুবকের মৃত্যু

usharalodesk
এপ্রিল ৬, ২০২১ ১:৪৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো রিপোর্ট : লকডাউনে সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়ন নিয়ে বাকবিতণ্ডাকে কেন্দ্র করে ফরিদপুরের সালথা থানা ও উপজেলা পরিষদে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আহত ১ যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
৬ এপ্রিল মঙ্গলবার ফরিদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আলিমুজ্জামান মৃত্যুর খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। নিহত যুবকের নাম জুবায়ের (২২)। তিনি রামকান্তপুর ইউনিয়নের মৃত আশরাফ আলীর ছেলে।
পুলিশ সুপার বলেছেন, পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করতে পারেনি। মরদেহ পরিবারের কাছে রয়েছে বলে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে।
৫ এপ্রিল সোমবার সন্ধ্যায় ফরিদপুরের সালথা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ সময়ে থানা, উপজেলা পরিষদ এবং এসিল্যান্ডের কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ বলেছে, সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে স্থানীয়দের ‘ভুল বোঝাবুঝি’ থেকে এ ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান জানান, লকডাউনের প্রথম দিনে সরকারি নির্দেশনা পালন করতে গিয়ে জনতার সঙ্গে কর্মকর্তাদের ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি হয়। এতে উভয় পক্ষ তর্কে-বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে উত্তেজিত জনতা ক্ষুব্ধ হয়ে উপজেলা পরিষদ, থানা ও উপজেলা চেয়ারম্যানের বাসভবনসহ বিভিন্ন অফিস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। এ সময়ে রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষায় কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট, ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন পুলিশ।
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিকুজ্জামান বলেছেন, এসিল্যান্ড মারুফা সুলতানা হিরামনির কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ উপজেলার ফুকরা বাজারে আসে। সেখানে পুলিশের ওপরে হামলা হলে এসআই মিজানুর রহমান মাথায় আঘাত পেয়েছেন। তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সালথার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মারুফা সুলতানা হিরামনি বলেছেন, সরকার নির্দেশিত আদেশে রুটিন ওয়ার্কে বিভিন্ন বাজারে গিয়েছিলাম। ফুকরা বাজারে সন্ধ্যার আগে যাওয়া হয়। বাজারে চায়ের দোকানে লোকজনের জটলা দেখে তাদের সরে যেতে বলা হলেও তারা কর্ণপাত করেনি। এ সময়ে তাদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। ওই ঘটনার পরে বিক্ষোভকারীরা আমার অফিস, গাড়ি ও ইউএনও স্যারের অফিস ভবন ও তার গাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছেন।
নগরকান্দা ও সালথা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সুমিউর রহমান বলেছেন, হামলাকারীরা কোনো সাধারণ জনতা ছিল না, এদের পেছনে দুষ্টচক্রের ইন্ধন ছিল। যে কারণে সরকারি গাড়ি, অফিস-আদালতে হামলা করা হয়েছে।
এ ঘটনায় পুলিশসহ আহত হয়েছে ৩০ জন। আহতদের নগরকান্দা ও ফরিদপুর মেডিকেলে ভতি করা হয়েছে।

(ঊষার আলো- এম.এইচ)