সিরিয়ায় অবস্থান করা মার্কিন সেনাদের উপস্থিতি আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে অর্ধেকে নামিয়ে আনা হবে। যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সদর দফতর পেন্টাগনের মুখপাত্র শন পার্নেল এ তথ্য জানিয়েছেন।
শনিবার এক প্রতিবেদনে রয়টার্স বলছে, বর্তমানে সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ছড়িয়ে থাকা বেশ কয়েকটি ঘাঁটিতে প্রায় ২ হাজার মার্কিন সেনা মোতায়েন রয়েছে। তারা স্থানীয় কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনী সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেসের (এসডিএফ) সঙ্গে কাজ করছে, যাতে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) পুনরুত্থান ঠেকানো যায়।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে পেন্টাগনের মুখপাত্র বলেন, আগামী মাসগুলোতে সিরিয়ায় মার্কিন বাহিনীর সংখ্যা কমিয়ে এক হাজারে আনা হচ্ছে।
পার্নেল আরও বলেন, সিরিয়ায় আইএসআইএসের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে যাওয়ার জন্য মার্কিন কেন্দ্রীয় কমান্ড সবসময় প্রস্তুত থাকবে।
পেন্টাগন সম্প্রতি বলেছে, মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে ট্রাম্প গত কয়েক সপ্তাহে সামরিক শক্তি বৃদ্ধির নির্দেশ দিয়েছেন। সেই নির্দেশ অনুযায়ী এই অঞ্চলে এরই মধ্যে বি-২ বোমারু বিমান, যুদ্ধজাহাজ এবং বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন করা হয়েছে।
সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইরানকে ইচ্ছাকৃতভাবে পারমাণবিক চুক্তি বিলম্বিত করার জন্যও অভিযুক্ত করেছেন এবং দাবি করেছেন, তেহরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির ‘প্রায় কাছাকাছি’।
ট্রাম্প আরও বলেন, ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্রের ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। তাদের পারমাণবিক অস্ত্র থাকতে পারে না। তেহরানের পারমাণবিক স্থাপনায় সামরিক হামলা চালানোর মতো কোনো পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের বিবেচনায় আছে কি না, জানতে চাইলে ট্রাম্প বলেন, ‘অবশ্যই আছে।’
গত ডিসেম্বরে বাশার আল আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর সিরিয়ায় ইসলামপন্থি সরকার ক্ষমতায় আসে। তারা দেশে স্থিতিশীলতা ফেরাতে এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক পুনর্গঠনের চেষ্টা করছে।
ঊষার আলো-এসএ