ঊষার আলো ডেস্ক : মেহেরপুরে নিজের স্ত্রীকে ছিনতাই করতে এসে জনতার হাতে আটক হয়েছে তারই স্বামী। আটককৃত ছিনতাইকারির নাম আব্দুল মালেক (৩১)। সে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বাঘাডাঙ্গা ইউনিয়নের নেপা গ্রামের মুসা খলিফার ছেলে।
অপরদিকে তার স্ত্রী ঝুমানা খাতুন খুলনার ফুলতলা উপজেলার দামুদার ইউনিয়নের গাড়াখোলা গ্রামের আবুল হোসেন খাঁর মেয়ে এবং সিএসএস নামের একটি এনজিওতে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বামন্দী শাখায় কর্মরত।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (২৭ মে) সকালে আব্দুল মালেক তার তিন সহযোগীদের একটি মাইক্রোবাস নিয়ে স্ত্রী ঝুমানা খাতুনকে ছিনতাই করতে বামন্দী আসে। ঝুমানা খাতুন তার পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য অফিস থেকে বের হয়। সকাল ৮টার দিকে ওৎ পেতে থাকা তার পাষন্ড স্বামী ও তার সহযোগীরা বামন্দী কিবরিয়া ফিলিং স্টেশনের অদুরে তাকে জোরপূর্বক মাইক্রোবাসে উঠানোর চেষ্টা করে। এ সময় স্থানীয় লোকজন তাদের ধস্তাধস্তি দেখে ধাওয়া করে। স্থানীয়দের ধাওয়ায় তার তিন সহযোগী পালিয়ে গেলেও তাকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। পরে বামন্দী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আবুল খায়ের তাকে উদ্ধার করে ক্যাম্পে নিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী ঝুমানা খাতুন জানান, তার স্বামী দীর্ঘদিন ধরে তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে অত্যাচার করে আসছে। ইতিপূর্বেও দুই পরিবারের মধ্যে বারবার আলোচনা করে বিবাদ মেটানো হয়েছে। এরপরেও সে আমাকে কিডনাফ করার জন্য আমার উপরে সন্ত্রাসী হামলা করেছে। আমি এর বিচার চাই।
আব্দুল মালেক জানায়, আমার ভুল হয়ে গেছে। আমাকে মাফ করে দেন। এমন কাজ আমি আর কখনো করবো না।
বামন্দী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আবুল খায়ের জানান, তাদেরকে উদ্ধার করে গাংনী থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
গাংনী থানার ওসি বজলুর রহমানের সাথে তার মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
(ঊষার আলো-এমএনএস)