ঊষার আলো ডেস্ক : স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ভালো সম্পর্ক কিংবা সম্পর্কের বৈরিতা নিয়ে প্রায়ই বিভিন্ন ঘটনা সামনে আসে গণমাধ্যমে। কিন্তু প্রথম স্ত্রীকে পাঠানো স্বামীর মেসেজ লুকিয়ে পড়ার ঘটনা যে আদালত পর্যন্ত গড়াতে পারে তা অনেকেরই অজানা। সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাতে এমনই এক ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, দ্বিতীয় স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও প্রথম স্ত্রী ও সন্তান বেশি গুরুত্ব পাচ্ছিলো! ফলে সন্দেহ বশত স্বামীর অনুপস্থিতিতে প্রথম স্ত্রীকে পাঠানো মেসেজ লুকিয়ে লুকিয়ে পড়তেন দ্বিতীয় স্ত্রী। স্বামীর ফোন খুলে সেই মেসেজ ও ইমেল পড়ে তা নিয়ে প্রতিদিন তুমুল অশান্তি লেগেই থাকত! আর এই দোষেই কঠোর শাস্তি পেলেন দ্বিতীয় স্ত্রী।
সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, দ্বিতীয় স্ত্রীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন তার স্বামী। অভিযোগ জানানোর সময় তিনি বলেন, সন্দেহ থেকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী ফোন ও ল্যাপটপ থেকে প্রথম স্ত্রী এবং সন্তানকে পাঠানো মেসেজ পড়তেন। আস্তে আস্তে প্রথম স্ত্রীর সাথে সম্পর্কে ভাঙন ধরে ও পরে ডিভোর্স হয় তাদের। আর এতকিছুর জন্য দায়ী তার দ্বিতীয় স্ত্রী।
এতে ক্ষতিপূরণ বাবদ দ্বিতীয় স্ত্রীর কাছে ওই ব্যক্তি মোটা অঙ্কের টাকাও দাবি করেন। স্বামীর অভিযোগের ভিত্তিতে তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে একমাসের কারাদণ্ডের শাস্তি ঘোষণা করে আমিরাতের একটি পারিবারিক আদালত। এমনকি সাথে ৮১০০ এইডি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ লক্ষ ৮৬ হাজার টাকা) জরিমানাও করা হয় তাকে।
(ঊষার আলো-এফএসপি)