ঊষার আলো ডেস্ক : চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে হেফাজত কর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ ও গুলিবিদ্ধ হয়ে চারজন নিহত হওয়ার প্রতিবাদে শুক্রবার (২৬ মার্চ) বিকেলে বিক্ষুদ্ধ মাদরাসা শিক্ষার্থীরা চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি-রাঙ্গামাটি মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। এতে ওই ওই মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে সন্ধ্যার পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে যায়।
হাটহাজারীতে হতাহতের ঘটনায় চট্টগ্রামসহ আশপাশের জেলাগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। হাটহাজারীতে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
হেফাজতে ইসলামের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামবাদী জানান, নরেন্দ্র মোদির আগমনের প্রতিবাদে বায়তুল মোকাররমে হামলার পর মাদরাসার ছাত্ররা একটি মিছিল বের করেন। হেফাজতের শান্তিপূর্ণ মিছিলে সম্পূর্ণ বিনা উস্কানিতে পুলিশ বাধা দেয় ও মাদরাসাছাত্রদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়।
অনেকেই আহত হয় জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আহতদের মধ্যে ৯ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনার পর চারজন হেফাজত কর্মী শাহাদাত বরণ করেন।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, হেফাজতের বিক্ষোভ মিছিল থেকে হাটহাজারী এসিল্যান্ডের গাড়িতে আগুন দেয়া ও থানায় আক্রমণসহ ভূমি অফিস ও ডাক বাংলোয় ব্যাপক ভাংচুর চালানো হয়েছে। তবে হেফাজতে ইসলামের নেতারা এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
আজিজুল হক ইসলামবাদী জানান, হেফাজত কর্মীদের থানায় আক্রমণ ও এসিল্যান্ডের গাড়িতে আগুন দেয়ার তথ্য সম্পূর্ণ মিথ্যা। তিনি বলেন, এসিল্যান্ডের গাড়িতে হেফাজতের কেউ আগুন দেয়নি। অন্য কেউ দিয়ে দায় চাপাচ্ছে।
(ঊষার আলো-এমএনএস)