ঊষার আলো রিপোর্ট : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে দুই পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার কার্তিকপাশা গ্রামের আলমগীর হোসেনের একমাত্র ছেলে মনির হোসেন। ২০ জুলাই গাজীপুর চৌরাস্তা এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন পেশায় পোষাক শ্রমিক মনির। তখন থেকেই পঙ্গুত্ববরণ করে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।
এদিকে টাকার অভাবে অন্ধকার ভবিষ্যতের দুশ্চিন্তা নিয়ে দিন কাটাচ্ছে মনিরের পরিবার। জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন থেকে ১ লাখ টাকার অনুদান পেলেও তা খরচ হয়ে গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পাঁচ সদস্যের পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম মনিরের আয় রোজগার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা এখন দিশেহারা। মনিরের তিন বছরের ছেলে ইসমাইলের ভরণপোষণও অনিশ্চিত। যোগাযোগ করা হলে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ মনির হোসেন এ প্রতিবেদককে জানান, প্রতিদিন তার সঙ্গে দুই-তিনজন লোক হাসপাতালে থাকতে হয়। তাদের খাবারই জোগাড় করতে পারছেন না তিনি। উপার্জনক্ষম কেউ না থাকায় পরিবার নিয়েও আছেন বিপাকে।
এসময় আর্থিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করে মনির আরও বলেন, টাকার অভাবে অন্ধকার ভবিষ্যতের কথা ভেবে দিনে দিনে মানষিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছেন তিনি। তার পুরো পরিবার এখন দিশেহারা।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে দুমকি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শাহীন মাহমুদ বলেন, তিনি জানামাত্রই খোঁজখবর নিয়ে ও কাগজপত্র যাচাই করে তাকে তালিকাভূক্ত করেছেন। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গুলিবিদ্ধ মনির আর্থিক অনুদান পাবেন বলে নিশ্চিত করেছেন এ কর্মকর্তা।
এছাড়া জেলা প্রশাসনও সহযোগীতা করবে বলে জানান তিনি।
ঊষার আলো-এসএ