UsharAlo logo
শনিবার, ২১শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

৩৬ ঘণ্টা পর ভেসে উঠল নিখোঁজ শিশুর লাশ

usharalodesk
ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৩ ১২:৩৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো রিপোর্ট : নরসিংদীর বেলাবতে আড়িয়াল খাঁ নদ থেকে ইয়াছিন (৯) নামে এক শিশুর ভাসমান লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। গোসলে নেমে নিখোঁজ হওয়ার ৩৬ ঘণ্টা পর সোমবার (৬সকালে তার মরদেহ ভেসে উঠলে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উদ্ধার করে।

এর আগে শনিবার দুপুর একটার দিকে বেলাব বাজারের আড়িয়াল খাঁ নদে বন্ধুদের সঙ্গে গোসল করতে নেমে ইয়াছিন ডুবে যায়। দুইদিন ডুবুরি দল নদে খোঁজাখুঁজি করেও তার কোনো সন্ধান পাইনি ।নিহত ইয়াছিন কিশোরগঞ্জ জেলার বত্রিশ গ্রামের রাসেল মিয়ার ছেলে। তিনি বেলাব উপজেলার মাটিয়ালপাড়া গ্রামে তার নানা রইছ উদ্দিনের বাড়িতে থাকতেন।

ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা জানায়, শনিবার দুপুর একটার  দিকে শিশু ইয়াছিন তার বন্ধুদের সঙ্গে আড়িয়াল খাঁ নদে গোসল করতে যায়। এ সময় নদে থাকা ভাঙা ডিঙি নৌকায় করে নদের মাঝ বরাবর গিয়ে গোসলের জন্য ঝাঁপ দেয়। এর কিছুক্ষণ পরই ইয়াছিন পানিতে তলিয়ে যায়।

পরে সঙ্গে থাকা বন্ধুরা স্থানীয়দের জানালে তারা নদে তল্লাশি শুরু করে। পরে বেলাব ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হলে স্টেশন অফিসার ইয়াছিন ইকবালের নেতৃত্বে একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রাথমিকভাবে নদে তল্লাশি করে।

এ সময় শিশুটির খোঁজ না পেয়ে গাজীপুর জেলার টঙ্গীর ডুবুরি দলকে খবর দেওয়া হয়। বিকেল সাড়ে ৪টায় ৪ সদস্যের একটি ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে নদে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। তারা নদের বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে শিশুটির সন্ধান না পেয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় অভিযান বন্ধ করে।

পরবর্তীতে রোববার সকাল সাড়ে ৭টায় ডুবুরি দল দ্বিতীয় দিনের মতো অভিযান শুরু করে। এদিন সারাদিন নদের বিভিন্ন জায়গায় সন্ধান করেও শিশুটির সন্ধান পাইনি। পরে তারা রাত সাড়ে ৮টার দিকে উদ্ধার অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করে।

সোমবার সকাল ৬ টা ২০ মিনিটে মাঝিরা নদে একটি শিশুর লাশ ভাসতে দেখে। পরে তারা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে সাড়ে ৬টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে ২৫০- ৩০০ হাত দূরে নদ থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে। শিশুটির লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে এলাকার মানুষরা নদের ঘাটে ভিড় জমায়। এ সময় স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।

বেলাব ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার ইয়াছিন ইকবাল বলেন, নদে গভীরতা বেশি ও তীব্র স্রোত থাকার কারণে আমাদের উদ্ধার কাজে বেগ পেতে হয়েছে। আমরা ডুবুরি দলের পাশাপাশি নৌকা দিয়েও সন্ধান চালিয়েছি। কিন্তু কোনোভাবেই সন্ধান পাওয়া যায়নি।

দুইদিন পার হয়ে গেলে লাশ ভেসে উঠার সম্ভাবনা থাকে এজন্য রাতে অভিযান সমাপ্ত করা হয়। পরে সকালে খবর পেয়ে হাটুঁসমান পানি থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়। আমরা স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে লাশ হস্তান্তর করেছি। তারা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

ঊষার আলো-এসএ