বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ পশ্চিমবঙ্গের সাবেক বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ ও রিঙ্কু মজুমদারের চার হাত এক হলো। অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ কাছের কয়েকজন আমন্ত্রিত অতিথিকে নিয়ে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারেন তারা। গতকাল শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বিকাল পৌনে ৫টা নাগাদ সাজগোজ সেরে বাড়ি গেলেন রিঙ্কু। সেখান থেকে শাড়ি পরে বিয়ের আসরে এলেন। এবং সম্পূর্ণ অনাড়ম্বর একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিয়ে সারলেন।
কারণ তিনি নিজে আড়ম্বরে বিশ্বাসী নন। যদিও দিলীপের বিয়ের খবর গত বৃহস্পতিবার প্রকাশ্যে আসার পর থেকে অনেকেই হতবাক। তবে বিজেপি কর্মী তথা অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষের মুখে অন্য কথা— সদ্য ৫০-এ পা দিয়েছেন তিনিও। অবিবাহিত। রুদ্র বলেন, দিলীপদা আমাকে অনুপ্রাণিত করতে পারেননি।
সাবেক বিজেপি সভাপতির বয়স প্রায় ৬১ বছর। এবার নতুন করে ঘর বাঁধলেন দিলীপ। এককথায়— সংসারী হলেন। অভিনেতা রুদ্রনীল তার পার্টির লোক। দুজনের বয়সের ফারাক মোটামুটি বছর দশেক। এখনো নিজের জন্য পাত্রী খুঁজে পাননি বলেই দাবি অভিনেতার। যদিও বিয়ের প্রতি একেবারেই যে অনীহ তিনি, তা-ও নয়।
রুদ্রনীল বলেন, দিলীপদা কিংবা কাঞ্চন মল্লিক, আমার বন্ধু যারাই বিয়ে করছেন, তাদের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা রয়েছে আমার। তবে তারা আমাকে অনুপ্রাণিত করতে পারেননি।
রুদ্রনীল এখন অনেকটা ‘আন্দোলন’ ও ‘বিপ্লব’ নিয়ে ব্যস্ত। তবে বিয়ে তিনি করবেন ঠিক সময় এলে। অভিনেতা বলেন, পশ্চিমবঙ্গের মুখটা উজ্জ্বল হোক আগে। আন্দোলন, বিপ্লব— এসব এখন চলছে। সময় এলে বিয়ে করব।
তবে দিলীপ ঘোষের মতোই রাজনীতির ময়দানের মেয়েকেই বিয়ে করবেন, না কি কোনো অভিনেত্রীকে বেছে নেবেন?—এমন প্রশ্নের উত্তরে রুদ্রনীল বলেন, যে কেউ হতে পারেন, তবে তাকে কর্মরতা হতে হবে।
ঊষার আলো-এসএ