ঊষার আলো রিপোর্ট : বাংলাদেশ গণ-অধিকার পরিষদের সভাপতি মো. নুরুল হক নুরকে গলাচিপা-দশমিনা উপজেলায় বিএনপির জনপ্রিয়তার সংজ্ঞা চেনাতে চায় স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা। বিএনপি নিয়ে নুরের বিতর্কিত মন্তব্যের পর এমন সিদ্ধান্ত নেন নেতাকর্মীরা। এরই মধ্যে রোববার সকালে দশমিনায় সমাবেশের জন্য দলীয় কার্যালয় প্রস্তুতি সভা করেছেন তারা। আগামী ৭ নভেম্বর গলাচিপা ও ৮ নভেম্বর দশমিনায় সমাবেশ করবে বিএনপি।
জানা যায়, বিএনপিকে নিয়ে ভিপি নুরের মন্তব্যে চরম ক্ষুব্ধ তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীরা। এতে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে গলাচিপা-দশমিনা উপজেলার রাজনীতি। গত ৩১ অক্টোবর দশমিনা উপজেলা সদরের ভিআইপি ডাকবাংলোয় স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রশ্নের জবাবে ভিপি নুর তার বক্তব্যর এক পর্যায়ে বলেন, আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিএনপির সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক হচ্ছে আমরা সরকার পতনের পর বিএনপির কিছু নেতাকর্মীর আচরণ এবং কর্মকাণ্ড দেখেছি। আওয়ামী লীগের আমলে যেভাবে বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজি-দখলবাজি হয়েছে সরকার পতনের পর বিএনপি সেভাবে চাঁদাবাজি-দখলবাজি ও প্রতিপক্ষের কর্মসূচিতে বাধাদান করেছে। ভিপি নুরের এমন বক্তব্যের জেরে চটেছেন দশমিনা উপজেলার বিএনপির নেতাকর্মীরা। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নুরের বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেন। এ নিয়ে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে তৃণমূলের রাজনীতি।
দশমিনা উপজেলা বিএনপির প্রভাবশালী নেতা ও উপজেলা বিএনপির সাবেক প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাওলাদার মো. ইফতিয়াস উদ্দিন জয় বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার তৈরি নুর না জানলে তার জানা উচিত পটুয়াখালী-৩ আসনে বিএনপির জনপ্রিয়তা কতটুকু। তিনি বলেন, নুর যদি তার দলীয় প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেন তাহলে লজ্জাজনকভাবে হেরে যাবেন। নুরের মতো লোক বিএনপি নিয়ে সমালোচনার যোগ্যতা রাখে না। বিএনপি চাঁদাবাজি বা দখলবাজি করে না, বরং নুরের মতো শেখ হাসিনার তৈরি কর্মীরা চাঁদাবাজি ও দখলবাজি করেন।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার আমলে যখন বাংলাদেশে কোনো বৈধ ভোট হয়নি ও বিনাভোটে সরকার গঠন করে, যখন বিদেশিদের চাপের মুখে ছিল, ঠিক তখনই নুরকে সমঝোতার মাধ্যমে ডাকসুর ভিপি তৈরি করা হয়।
তিনি বলেন, নুর আর শেখ হাসিনার বিষয়টি এমন চুক্তিবদ্ধ ছিল যে, তাকে মারা হবে কিন্তু ব্যথা পাবে না, কাটবে রক্ত বের হবে না, হামলা হবে পুলিশ ধরবে না ও পুলিশ ধরবে কিন্তু জেল খাটতে হবে না। বিনিময়ে ওই সময়ে তাকে দিয়ে সরকারের সমালোচনা করিয়ে মিডিয়ার মাধ্যমে বোঝানো হবে দেশে বাকস্বাধীনতা আছে। মূলত বিএনপি ও দেশের মানুষের বাকস্বাধীনতা কেড়ে নিয়ে নুরের মতো অযোগ্য ব্যক্তি দিয়ে লোকদেখানো সমালোচনায় বাকস্বাধীনতার নাটক দেখানো হতো। অথচ নুর জেল না খেটে গায়ে হাওয়া লাগিয়ে ঘুরলেও শেখ হাসিনার সময় বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী জেল-জুলুম ও নির্যাতনের শিকার হয়। নুর আওয়ামী লীগেরই তৈরি বলে মন্তব্য করেন জয়। তিনি বিএনপিকে নিয়ে নুরের বক্তব্য প্রত্যাহার ও তাকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানান।
ঢাবি ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুন বলেন, এ আসনে বিজয়ের জন্য দলের মধ্য থেকে আগামী নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী দেবে বলে আমরা মনে করি।
ঊষার আলো-এসএ