ঊষার আলো ডেস্ক : ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে মাত্রাতিরিক্ত ওষুধ সেবনে ১ লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। দেশটির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ওষুধ সেবনের ফলে মাত্র এক বছরে এত মানুষের মৃত্যু হয়, যা এর আগের বছরের তুলনায় অন্তত ২৮ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি।
বুধবার (১৭ নভেম্বর) প্রকাশিত তথ্যে দেখা যায়, ওভারডোজের ফলে ওই সময়ের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ১ লাখ ৩০৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসব মৃত্যুর পেছনে ওপিঅয়েড বা আফিমজাতীয় ওষুধ সবচেয়ে বেশি দায়ী বলে জানা যায়। মোট মৃত্যুর মধ্যে ৭৫ হাজার ৬৭৩টি মৃত্যুর পেছনেই ওপিঅয়েডের প্রভাব আছে।
পরিসংখ্যান বিষয়ক ওয়েবসাইট আওয়ার ওয়ার্ল্ড ইন ডেটার হিসাবে, ওই একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৫ লাখ ৮ হাজারের কাছাকাছি মানুষের মৃত্যু হয়। সবশেষ ২০১৯ সালে পাওয়া হিসাব অনুসারে যুক্তরাষ্ট্রে প্রাণহানির সব থেকে বড় কারণ ছিল হৃদরোগ। সেই বছর দেশটিতে হৃদযন্ত্রের অসুখে ছয় লাখ ৬০ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। দ্বিতীয় কারণ ক্যানসারে মারা যান প্রায় ৬ লাখ লোক। আর অনিচ্ছাকৃত আঘাতে মৃত্যু হয় এক লাখ ৭০ হাজার মানুষের।
পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, মেথামফেটামিনের মতো সাইকোস্টিমুল্যান্টসের পাশাপাশি প্রাকৃতিক ও আধা-সিনথেটিক ওপিঅয়েডগুলোর (যেমন- ব্যথার ওষুধ ও কোকেন) মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারে মৃত্যুর হার বৃদ্ধি পেয়েছে।
(ঊষার আলো-এফএসপি))