ঊষার আলো রিপোর্ট: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের আহমেদ হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ও একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মো. মহিউদ্দীনকে চূড়ান্তভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে গত ২৩ মে একটি চিঠি ইস্যু করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
রোববার (৯ জুলাই) দুপুরে ইস্যুকৃত চিঠিটির সত্যতা নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়টির রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আবদুস সালাম বলেন, কেউ যদি চূড়ান্তভাবে দোষী সাব্যস্ত হয়, তাহলে সেই তারিখ থেকে তিনি বরখাস্ত হয়ে যান। এক্ষেত্রে ড. মহিউদ্দীন চূড়ান্তভাবে দণ্ডিত আসামি হওয়ায় আইন মেনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, রাবি অধ্যাপক তাহের হত্যা মামলায় সম্প্রতি ২ আসামি মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীরের প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ করেছেন রাষ্ট্রপতি। সেই চিঠি ডাক বিভাগ হয়ে ইতোমধ্যে রাজশাহী কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছেছে। এ মাসের যে কোনোদিন ফাঁসি কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছে রাজশাহী কারা কর্তৃপক্ষ।
এর আগে, ২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ার্টারের ম্যানহোল থেকে উদ্ধার করা হয় অধ্যাপক তাহেরের মরদেহ। ওই বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি তার ছেলে সানজিদ আলভি আহমেদ রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন। ২০০৭ সালের ১৭ মার্চ ছয়জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেয় পুলিশ। চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার বিচার শেষে ২০০৮ সালের ২২ মে রাজশাহীর দ্রুতবিচার আদালত চারজনকে ফাঁসির আদেশ ও দুজনকে খালাস দেন।
এ মামলায় দণ্ডিত অন্যরা হলেন- জাহাঙ্গীরের ভাই নাজমুল ও তার স্ত্রীর ভাই সালাম। তবে খালাস পান তৎকালীন রাবি শিবির সভাপতি মাহবুবুল আলম সালেহী। পরে উচ্চ আদালতে আপিলের মাধ্যমে নাজমুল এবং সালামের রায় কমিয়ে যাবজ্জীবন করা হয়। এ দুজনের দণ্ড বৃদ্ধির জন্য আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ; কিন্তু শুনানি শেষে ২০২২ সালের ৫ এপ্রিল আপিল বিভাগ হাইকোর্টের দেওয়া রায়ই বহাল রাখেন।
ঊষার আলো-এসএ