UsharAlo logo
বুধবার, ১লা জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অপরিকল্পিত বেড়িবাঁধ নির্মাণ; জলাবদ্ধতার আশংকা

পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি
ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৪ ১২:৪০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

পাইকগাছার রাড়–লীতে ভাঙ্গন রোধে অপরিকল্পিত বেড়িবাঁধ নির্মাণ করায় বর্ষা মৌসুমে এলাকায় জলাবদ্ধতার আশংকা করছেন এলাকাবাসী। কালভার্ট নির্মাণ পূর্বক পানি নিষ্কাসন ব্যবস্থা স্বাভাবিক রেখে বাঁধ নির্মাণের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী। জনগুরুত্বপূর্ণ এ বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্য সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে অবহিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

উল্লেখ্য, পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় উপজেলার রাড়–লী ইউনিয়ন পরিষদ এলাকা থেকে মিনারুল ইসলাম সানার ইট ভাটা পর্যন্ত কপোতাক্ষ নদের ভাঙ্গন রোধে বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে। এ বাঁধ নির্মাণ করার ফলে ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের পানি নিষ্কাসন ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ ওয়ার্ডের পশ্চিম পাড়ার পানি নিষ্কাসনের একমাত্র যে ড্রেন বা চ্যানেল রয়েছে তা নতুন নির্মিত বাঁধের কারণে আটকিয়ে গেছে।

এ ব্যাপারে সরেজমিন গেলে সায়েদ আলী গাজী বলেন, আমাদের বাপ-দাদার আমল থেকে এলাকার পানি যে চ্যানেল দিয়ে কপোতাক্ষ নদে নিষ্কষিত হতো সেটি বাঁধ দেওয়ার ফলে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আব্দুল জব্বার গাজী বলেন, ভাঙ্গন রোধে যে বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে তার কোথাও এলাকার পানি সরানোর ব্যবস্থা রাখা হয়নি। ফলে বর্ষা মৌসুমে এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে বলে আশংকা দেখা দিয়েছে।

আব্দুল লতিফ বলেন, পানি সরানো ব্যবস্থা না রাখলে এলাকায় যেসব মসজিদ, মাদরাসা ও স্কুল রয়েছে বর্ষা মৌসুমে তা সব তলিয়ে যাবে। ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হবে বলে আশংকা করছি। যেখানে পানি সরানো পয়েন্ট রয়েছে সেখানে আমরা নিজ উদ্যোগে পাইপ বসানোর চেষ্টা করলে পাশের জমির মালিক আজিজুল ইসলাম আমাদের বাঁধা দিচ্ছে। অথচ সে নিজেই পাইপ বসিয়ে লবণ পানির চিংড়ি ঘের করছে।

এ ব্যাপারে আজিজুল ইসলাম আজি বলেন, পাইপ বসানোতে আমি কোন বাঁধা দেয়নি। বরং এলাকার স্বার্থে আমি তাদেরকে ৪টি পাইপ বসানোর পরামর্শ দিয়েছি। শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডাঃ আলহাজ¦ মুহাঃ আলী গাজী বলেন, অপরিকল্পিত বাঁধ নির্মাণ করার ফলে এ ধরণের সংকট তৈরী হয়েছে। এলাকাবাসীর সাথে আলোচনা করে বাঁধ নির্মাণ করা হলে এমন সমস্যা তৈরী হতো না। আমরা বাঁধ চাই, পাশাপাশি এলাকার পানি সরানোর ব্যবস্থাটাও স্বচল চাই। বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্য মোঃ রশীদুজ্জামান সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে অবহিত করা হয়েছে বলে এলাকাবাসী জানান।

এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রাজু হাওলাদার জানান, আমাদের ভবিষ্যতের উন্নত কর্মপরিকল্পনা রয়েছে। কিন্তু এ ধরণের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। তবে জনস্বার্থের কথা বিবেচনা করে এলাকার পানি নিষ্কাসন ব্যবস্থা যাতে স্বাভাবিক থাকে সে ব্যাপারে বর্ষা মৌসুমের আগেই প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে পাউবো’র এ কর্মকর্তা জানান।