ঊষার আলো ডেস্ক : অবশেষে পোশাক শ্রমিকদের আন্দোলনের মুখে বাধ্য হয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষ ৫-১০ দিন পর্যন্ত ছুটির ঘোষণা দিচ্ছে। যদিও অনেক কারখানায় কাজ না থাকায় আগেই ঈদের ছুটি দিয়ে কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়। করোনার কারণে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী পোশাক শ্রমিকদের ঈদুল ফিতরের ছুটি তিনদিনের দেয়া হলেও তা মানতে নারাজ শ্রমিকরা। ছুটি বাড়ানোর দাবিতে শনিবার (৮ মে) মিরপুরের বেশ কয়েকটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা আন্দোলনে নামেন। তাদের ওই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন এলাকায়।
করোনা সংক্রমণ রোধে ঈদে তিনদিনের ছুটি ও কর্মস্থলে অবস্থান করার নির্দেশনা ছিল সরকারের। সে আলোকে পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ সদস্যভুক্ত কারখানা মালিকদের নির্দেশনা মেনে ছুটি দেয়ার কথা ছিল।
তবে তিনদিনের পরিবর্তে ৭-১০ দিনের ছুটির দাবি জানিয়ে আসছেন শ্রমিকরা। তাদের আন্দোলন শুরু হয় গত শনিবার থেকে। এরপর আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে টঙ্গী, মিরপুর কালশিসহ কয়েকটি এলাকায়। সোমবার (১০ মে) হা-মীম গ্রুপের কারখানায় এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। এরপর থেকে অধিকাংশ কারখানা বাড়তি ছুটি দিতে বাধ্য হচ্ছেন।
বিকেএমইএ-এর একজন পরিচালক বলেন, আন্দোলনের আগেই আমরা যে যার মতো করে পাঁচ থেকে ৭ দিন করে ছুটি দিয়েছি। তবে ছুটি দিলেও শ্রমিকদের ঢাকায় অবস্থানের নির্দেশনা দিয়েছি আমরা।
বিজিএমইএ-এর সিনিয়র সহ-সভাপতি এস এম মান্নান কচি বলেন, আমাদের ছুটি দিতে কোনো আপত্তি নেই। ছুটি আসবে, ছুটি যাবে। তবে সবার আগে জীবন, দেশ আগে। এখন পরিস্থিতি ভালো না। এ অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী তিনদিনের ছুটি নির্ধারণ করেছে, এতে শ্রমিকদের আপত্তি থাকার কথা নয়।
(ঊষার আলো-এমএনএস)