ক্রীড়া ডেস্ক : বক্সিং ডে টেস্টের আলোচিত নাম স্যাম কনস্টাস। অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার হিসেবে সবচেয়ে কম বয়সে টেস্ট অভিষেক হয়েছে এই ব্যাটারের। আর অভিষেকেই গড়েছেন অনন্য কীর্তি। খেলেছেন ৬৫ বলে ৬০ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। ইনিংসে সময়ের সেরা ব্যাটার জাসপ্রিত বুমরাহর বলে রিভার্স সুইপে ছক্কাও হাঁকিয়েছেন এই ব্যাটার।
বোর্ডার গাভাস্কার ট্রফির পাঁচ ম্যাচ সিরিজের চতুর্থটি মাঠে গড়ানোর আগে থেকেই উত্তেজনা বিরাজ করছিল। ১-১ সমতায় থাকা সিরিজে এবার মাঠেও দেখা গেল সেই দৃশ্য। দুর্দান্ত খেলতে থাকা অভিষিক্ত ১৯ বছরের তরুণকে ধাক্কা দেন কোহলি। ইনিংসের ১০ ওভারের পর দিক পরিবর্তন করার জন্য হেঁটে আসছিলেন কোহলি। উল্টো দিক থেকে আসছিলেন কনস্টাসও। দু’জনের কাঁধে ধাক্কাধাক্কি হয়। কনস্টাস কিছু একটা বলে বসেন। কোহলিও এগিয়ে যান। পরে দুজনের বিবাদ থামান আম্পায়ার এবং আরেক অজি ওপেনার উসমান খাজা।
রিপ্লেতে দেখা যায়, কনস্টাস মাথা নিচু করে ব্যাট হাতে যাচ্ছিলেন। কোহলিই পাশ থেকে অনেকটা দিক পরিবর্তন করে কনস্টাসের কাছে গিয়ে তাকে ধাক্কা মারেন। ধারাভাষ্যকার মাইকেল ভন বলছিলেন, কনস্টাসকে উত্তেজিত করার জন্যই এ কাজ করেছেন কোহলি। তবে এই কাজের জন্য কোহলি কখনোই গর্ব অনুভব করবেন এমন মনে করেন না সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক, ‘কোহলি ওই মুহূর্তের কথা মনে করে গর্ব অনুভব করবে না। কনস্টাস স্রেফ হেঁটে যাচ্ছিল। কোহলিকে দেখুন, সে তার পথের দিক পাল্টেছে।’
খুশি হতে পারেননি ভারতীয় গ্রেট সুনীল গাভাস্কারও। তার মতে দুজনেরই শাস্তির সম্ভাবনা আছে, ‘সরে গেলে কেউ ছোট হয়ে যেত না। প্রথমে মনে হয়েছিল যে, দুজনেই নিচে তাকিয়ে ছিল। এখন দেখার বিষয়, কাকে বেশি জরিমানা দিতে হয়।’
তবে সবচেয়ে বেশি চটেছেন রিকি পন্টিং। ধারাভাষ্যকক্ষ থেকে বলেছেন, ‘বেশ কিছু অ্যাঙ্গেল থেকে আমরা ঘটনাটি দেখেছি। আমাকে বলতেই হচ্ছে, ওই পর্যায়ে ভারতের ফিল্ডারদের কোনো অবস্থাতেই ব্যাটসম্যানের ধারেকাছে যাওয়ার কথা নয়। ব্যাটসম্যানরা কোথায় একসঙ্গে দাঁড়ায় সেটা প্রতিটি ফিল্ডারই জানে। আমার কাছে মনে হয়েছে, কনস্টাস অনেক দেরিতে খেয়াল করেছে। কেউ তার সামনে থাকতে পারে সম্ভবত তার ভাবনায় ছিল না। কিন্তু স্ক্রিনে যাকে দেখা যাচ্ছে (কোহলি) বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতে হতে পারে।’
মেলবোর্নে এদিন ৬০ রান করে আউট হন কনস্টাস। ফেরার আগে অভিষেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং করে মন জয় করেছেন ক্রিকেট ভক্ত-সমালোচকদের। কনস্টাসের কাছে ছক্কা হজম করতে হয়েছে বুমরাহকে। যা ৩ বছর ও ৪৪৮৩ বল পর টেস্ট ক্রিকেটে ছক্কা হজম করার নজির বুমরাহর।
ঊষার আলো-এসএ