ক্রীড়া ডেস্ক :বিশ্বকাপের জন্য আইপিএল ছেড়ে যাচ্ছেন ইংলিশ ক্রিকেটাররা। লিয়াম লিভিংস্টোনের পর দেশে ফিরছেন অধিনায়ক জস বাটলার।
হাঁটুর ইনজুরি থেকে পুরোপুরি সেরে উঠা আর বিশ্বকাপের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করবেন এ অলরাউন্ডার। দেশের কথা চিন্তা করে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজস্থান ব্যাটার জস বাটলারও। প্লে অফের লড়াইয়ে থাকা ফ্র্যাঞ্চাইজিটি আর পাচ্ছে না ইংলিশ অধিনায়ককে।
এদিকে জমে উঠেছে আইপিএল প্লে-অফের লড়াই। কলকাতা ছাড়া কারো নিশ্চিত নয় সেরা চার। কাগজে কলমে টিকে আছে ৭ দলের সম্ভাবনা; এ তালিকায় আছে বিরাট কোহলির বেঙ্গালুরুও।
এবারের রান বন্যার আইপিএলের শিরোপা রেসে সবার আগে ছিটকে গেছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ও পাঞ্জাব কিংস। একমাত্র দল হিসেবে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। বাকি তিন স্পটের লড়াইয়ে টিকে আছে সাত দল।
দ্বিতীয় দল হিসেবে প্লে-অফে এক পা দিয়ে রেখেছে রাজস্থান রয়্যালস। ১২ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ১৬। পাঞ্জাব ও কলকাতার সাথে এক ম্যাচ জিতলে নাম লিখবে প্রথম কোয়ালিফায়ারে। আবার দুই ম্যাচ হারলেও সুযোগ থাকবে। রানরেটে বেশ এগিয়ে সাঞ্জু স্যামসনের দল।
শেষ চারের দৌড়ে আছে চেন্নাই সুপার কিংসও। বেঙ্গালুরুকে হারালেই চলবে। তখন দুইয়ে থাকা রাজস্থান আর কোন ম্যাচ না জিতলে রানরেটে এগিয়ে প্রথম কোয়ালিফায়ারেও জায়গা করে নিতে পারে ধোনির দল। কিন্তু হেরে গেলে তাদের টপকে যাওয়ার সুযোগ থাকবে কলকাতা, রাজস্থান, হায়দরাবাদ ও লক্ষ্ণৌর।
চেন্নাইয়ের সমান ১৪ পয়েন্ট হায়দরাবাদেরও। নেট রানরেট ভালো থাকায় বাকি দু ম্যাচের একটিতে জিতলেই হবে। আর দুটি জিতলে থাকবে সেরা দুইয়ে থাকার সুযোগ। তবে গুজরাট ও পাঞ্জাবের কাছে হার তাদের ঠেলে দিতে পারে শঙ্কায়। তখন সামনে আসবে রানরেট।
টানা পাঁচ ম্যাচ জিতে প্লে-অফের পথে টিকে আছে প্রথম ৬ ম্যাচ হারা রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। শেষ ম্যাচে শুধু জিতলেই হবেনা। দুইশোর বেশি রান করে অন্তত ১৮ রানে হারাতে হবে চেন্নাইকে। সঙ্গে চাইতে হবে হায়দরাবাদ ও লক্ষ্ণৌর পরাজয়। কাগজে কলমে টিকে আছে পরের তিন অবস্থানে থাকা দিল্লি, লক্ষ্ণৌ ও গুজরাট।
ঊষার আলো-এসএ