UsharAlo logo
শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

এমসি কলেজে গৃহবধূ ধর্ষণ : আজ হাইকোর্টের রায়

usharalodesk
জুন ২, ২০২১ ৭:১০ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো রিপোর্ট : সিলেটের এমসি কলেজে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় জারি করা রুলের ওপর রায়ের দিন আজ বুধবার (২ জুন) ধার্য করেছেন হাইকোর্ট। রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে মঙ্গলবার (১ জুন) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে ২০২০ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর এমসি কলেজে গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনায় কলেজ কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে তাদের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ওই ঘটনার অনুসন্ধানে যৌথ কমিটি গঠন করে দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। চার সদস্যের অনুসন্ধান কমিটিতে ছিলেন, সিলেটের জেলা ও দায়রা জজ মো. বজলুর রহমান, অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মমিনুন নেসা, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবুল কাশেম ও সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শারমিন সুলতানা।
পরে এই অনুসন্ধান কমিটি সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করে। প্রতিবেদনে বলা হয়, সিলেটের এমসি কলেজে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় হোস্টেল সুপার ও প্রহরীদের দায়িত্বে অবহেলা ছিল। তাই প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে এমসি কলেজের অধ্যক্ষও কোনোভাবেই ওই ঘটনার দায় এড়াতে পারেন না। ধর্ষণের পেছনে মূলত হোস্টেলের বর্তমান তত্ত্বাবধায়কেরা, হোস্টেলের মূল গেটের ডে-গার্ড, ৫ নম্বর ব্লকের ডে-গার্ড ও নাইট গার্ড (নৈশ প্রহরী) এবং ৭ নম্বর ব্লকের ডে-গার্ড ও নাইট গার্ডের দায়িত্বে অবহেলা ছিল।
প্রতিবেদেনে আরও বলা হয়, ঘটনার সময় কলেজ বন্ধ থাকার পরও কয়েকজন ছাত্র ও সাবেক ছাত্র হোস্টেলে অবস্থান করেন। একজন সাবেক ছাত্র ৫ নম্বর ব্লকের হোস্টেল সুপারের বাসভবন দখল করে থাকেন। সাবেক ওই ছাত্ররা অবৈধভাবে কলেজে হোস্টেসাবেক ছাত্র সাইফুর রহমান কর্তৃক হোস্টেল সুপারের বাসভবন জোর করে দখল করে থাকার কারণেই তারা কলেজের হোস্টেল এলাকায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধ করার সাহস পায়। ফলে ঘটনার তারিখে হোস্টেল ক্যাম্পাসে ওই ঘটনার নেপথ্যে মূলত হোস্টেল সুপারদের তদারকির ঘাটতি ও দায়িত্বে অবহেলাই দায়ী। তবে প্রতিষ্ঠান প্রধান হিসেবে কলেজের অধ্যক্ষের ওপরও এ দায়ভার চলে আসে।
পাশাপাশি এই প্রতিবেদনে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে ১৫ দফা সুপারিশ করে বলা হয়, কলেজের নিয়মিত শিক্ষার্থীদের চাহিদার ভিত্তিতে হোস্টেলে আসন নিশ্চিত করতে হবে এবং অছাত্র বা সাবেক ছাত্রদের হোস্টেলে বসবাস কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে।

(ঊষার আলো-এমএনএস)