UsharAlo logo
শুক্রবার, ৩০শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

আদালতে বসার জন্য টুল চাইলেন আমু

ঊষার আলো রিপোর্ট
মে ২৮, ২০২৫ ৬:৫৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

জুলাই আন্দোলনের সময় ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় ১৪ দলের সমন্বয়ক ও সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমুকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে ঢাকার মহানগর হাকিম মেহেরা মাহবুব বুধবার তাকে গ্রেফতার দেখানোর আদেশ দেন।১০ মে আমুকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা যাত্রাবাড়ী থানার এসআই নাজমুল হাসান।

আদালত তার উপস্থিতিতে আবেদনের শুনানির দিন বুধবার ধার্য করে।এদিন সকালে আমুকে মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে এনে হাজতখানায় রাখা হয়।

এরপর সকাল ১০টার দিকে তাকে দ্বিতীয় তলায় এজলাসে তোলা হয়। বয়স্ক ও অসুস্থ হওয়ায় একা চলাচলে অনেকটায় অক্ষম আমির হোসেন আমুকে ৪/৫ জন পুলিশ সদস্য মিলে নিয়ে যান। তবে সিঁড়িতে উঠতে বেগ পান পুলিশ সদস্যরা। উঠতে পারছিলেন না আমু।

পরে আরও কয়েকজন পুলিশ সদস্য যোগ হয়ে তাকে এজলাসে নিয়ে যান। এসময় আমুর হাতে হাতকড়া, মাথায় হেলমেট ও বুলেটপ্রুফ ভেস্ট পরানো ছিল।

আসামির কাঠগড়ায় নেওয়ার পর আমু বসার জন্য আদালতের কর্মচারীদের কাছে একটা টুল চান। তবে কেউ কর্ণপাত করেননি। এসময় দুইহাত দিয়ে কাঠগড়ার লোহা ধরে দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি। তার একটি নখে ব্যান্ডেজ দেখা যায়।

কিছুক্ষণ পর আবারও একটা টুল চান সাবেক এই মন্ত্রী। তখন আদালতের একজন একটা টুল দিতে এগিয়ে আসেন। তবে পুলিশ কর্মকর্তারা তাকে থামিয়ে দেন। পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের একজন বলেন, আদালতের অনুমতি নিয়ে টুল দিতে হবে।

এরপর আমু তার আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলেন। আইনজীবী তার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন। পরিবারের পক্ষ থেকে তার কাছে কুরবানির বিষয়ে জানতে চান। তিনি আইনজীবীকে বলেন, পারিবারিকভাবে যেন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

১০টা ১৭ মিনিটের দিকে আদালতের বিচারকাজ শুরু হয়। আইনজীবী মহসিন রেজা আমুর বসার জন্য একটা টুলের ব্যবস্থা করতে প্রার্থনা জানান। আদালত বসার জন্য টুলের ব্যবস্থা করতে বলে।

শুনানির পরে আদালত আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের এই সদস্যকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করে।

নখ কেটে যাওয়ার বিষয়ে আমির হোসেন আমুর আইনজীবী মহসিন রেজা সাংবাদিকদের বলেন, হাজতখানা থেকে আদালতে নেওয়ার পথে হ্যান্ডকাপের ধারালো অংশের আঘাতে তার নখ কেটে যাই। তিনি টিস্যু দিয়ে রক্ত বন্ধ করে রাখেন। পরে আদালতের অনুমতি নিয়ে তার হাতে ব্যান্ডেজ করে দিয়েছি।

ঊষার আলো-এসএ