UsharAlo logo
সোমবার, ২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উপকূলে ফ্রিতে স্ত্রীরোগ ও মাতৃস্বাস্থ্য সেবা ক্যাম্প

usharalodesk
জানুয়ারি ২৭, ২০২৩ ৮:৪৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

পরিতোষ কুমার বৈদ্য, শ্যামনগর : শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় শ্যামনগর উপজেলার ৭১ নং বুড়িগোয়ালিনী ফরেস্ট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠন লিডার্সের আয়োজনে এবং গিভ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ও ব্রেড ফর দ্যা ওয়ার্ল্ডের আর্থিক সহযোগিতায় জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে ক্ষতিগ্রস্থ উপকূলে দিন ব্যাপী ফ্রিতে স্ত্রীরোগ ও মাতৃস্বাস্থ্য সেবা ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়।

উক্ত স্ত্রীরোগ ও মাতৃস্বাস্থ্য সেবা ক্যাম্পটিতে উপস্থিত ছিলিন আয়োজক বেসরকারী উন্নয়ন সংগঠন লিডার্স এর নির্বাহী পরিচালক মোহন কুমার মন্ডল, গিভ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট মোঃ সাইফুল্লাহ মিঠু, নির্বাহী পরিচালক খন্দকার আবীর হোসেন নূর, লিডার্স এর প্রকল্প সমন্বয়কারী মোঃ মোশারাফ হোসেন, মনিটরিং অফিসার রনজিৎ কুমার মন্ডল সহ লিডার্স ও গিভ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন এর একদল কর্মীবৃন্দ, রোগী দেখেন ডাঃ সাদাহ হাসান, এমবিবিএস, ডাঃ আয়শা আক্তার নিপা, এমবিবিএস, ডাঃ রায়হান ফেরদৌস দোলা, এমবিবিএস, ডাঃ রাফা মল্লিক, এমবিবিএস, ডাঃ মুক্তা, এমবিবিএস প্রমুখ।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে উপকূলে বেড়েছে দুর্যোগ। ফলে বেড়েছে লবণাক্ততা। কৃষি উৎপাদন কমে যাওয়ায় বেড়েছে বেকারত্ব। দেখা দিয়েছে সুপেয় পানির সংকট। বৃদ্ধি পেয়েছে নারী চিংড়ি শ্রমিকের সংখ্যা। উপকূলের নারীদের লবণ পানি পান করতে হয়, লবণ পানিতে গোসল করতে হয়। এছাড়া জীবন চালাতে উপকূলের নারীরা নদীতে মাছ ধরে এবং চিংড়ি ঘেরে শ্রমিক হিসাবে কাজ করছে। ফলে সারাদিন লবণ পানিতে থাকার কারনে বিভিন্ন বয়সী নারীদের স্ত্রী রোগ ও প্রজনন স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে বহুবিদ সমস্যা দেখা দিয়েছে।

উপকূলের এসব ইউনিয়নে স্বাস্থ্য সেবার অপ্রতুলতার কারনে এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অনেক দূরে হওয়ায় অধিকাংশ নারীরা স্বাস্থ্য সেবা নিতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। তাছাড়া এসব নারীদের নারী সংক্রান্ত রোগের চিকিৎসা সেবা নিতে একজন পুরুষ ডাক্তারের নিকট গেলে তারা লজ্জার কারনে সবকিছু খুলে বলতে দ্বিধাবোধ করেন। ফলে সঠিক চিকিৎসা সেবা নিতে ব্যর্থ হন।

এই সমস্যা সমাধানে পাঁচ জন নারী ডাক্তারের সমন্বয়ে উক্ত ক্যাম্প আয়োজন করা হয়। এই ক্যাম্প আয়োজনে অনলাইনে উপকূল এলাকার নারীদের আবেদন গ্রহন করা হয়। রোগের জটিলতা বিবেচনা করে ২০০ জন নারীকে টোকেন প্রদান করা হয়। এই ২০০ জন নারীকে নিয়ে এই স্ত্রীরোগ ও মাতৃস্বাস্থ্য সেবা ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়। এছাড়া ১২-২৫ বয়সী ১০ জন কিশোরীকে জরায়ু ক্যানসার প্রতিরোধক টিকা প্রদান করা হয়েছে।