ঊষার আলো প্রতিবেদক : গতবার করোনায় লকডাউন শুরুর আগ থেকেই শুরু হয়েছিলো গরীবের জন্য নানা শ্রেনি-পেশার মানুষের দান। কিন্তু দেশজুড়ে এবারের চিত্র বা পরিস্থিতি একাবারেই উল্টো। কোথাও তেমনভাবে দেখা যায়নি দানের চিত্র। এতেই ভাবনার ভেতর এবারের করোনা গরীবের কান্নায়।
লকডাউন শুরু থেকেই তাদের নিত্যদিনের আয়ের পথ বন্ধ। এভাবে আরও কতদিন যেতে হবে সেটাও কেউ বলতে পারছে না। এক্ষেত্রে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে শিশুরা। প্রতিদিন যেভাবে বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল তাতে করোনা যে এবার ভংয়কর হতে চলছে তার জানান ইতিমধ্যেই দৃশ্যমান।
গত তিনদিনের মৃত্যুহার বিবেচনা করলে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে প্রতি ১৫ মিনিটে একজনের মৃত্যু হচ্ছে। আর এপ্রিল মাসের মৃত্যু হার বিবেচনা করলে, কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে এই মাসে প্রতি ১৮ মিনিটে একজনের মৃত্যু হচ্ছে।
করোনাভাইরাস সংক্রমিত হয়ে কারও মৃত্যুর কথা সর্বপ্রথম ঘোষণা করা হয়েছিল গত বছরের ১৮ মার্চ। তবে ১৮ এপ্রিলের আগ পর্যন্ত এই ১৩ মাসে মৃতের সংখ্যা এর আগে কখনোই তিন অংক ছোঁয়নি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, রোববার (১৮ এপ্রিল) বাংলাদেশে নতুন করে কোভিড-১৯ আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন ৩,৬৯৮ জন। এ নিয়ে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৭ লাখ ১৮ হাজার ৯৫০। এর মধ্যে ১০ হাজার ৩৮৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ভাবনার বিষয় এই যে, মৃত্যুর কোঠা তিন অংকে একই সাথে দিনকে দিন খারাপ হচ্ছে করোনা পরিস্থিতি।
এমন ভয়াবহ পরিস্থিতে গরীবের টিকে থাকতে যখন সংগ্রাম করতে হচ্ছে। ঠিক সেই সময় প্রতিটি নিত্য পণ্যের দাম এখন বাজারে আকাশ ছোঁয়া। চাল থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় কাঁচা সবজিতে হাত দেয়া যাচ্ছে না। মাছ ও মাংসের বাজার তো আরও চড়া।
করোনায় মৃত্যু সংখ্যা যেমন হু-হু করে বাড়ছে তেমনি নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের অপ্রতুলতা এবং চড়া দাম আরও চিন্তার ভাঁজ ফেলছে সাধারণ মানুষের মাঝে। গত বছর করোনায় আঘাত হানার পর সেই ঢেউ যখন বাজার ব্যবস্থায় প্রভাব শুরু হচ্ছিলো ঠিক সেই সময় আবার করোনার ফিরে আসা ভংয়কর পরিস্থিতির জানান এর লক্ষণ বলে মনে করছেন অনেকে।
এ অবস্থা বেশিদিন চলতে থাকলে করোনার সাথে আরও কিছু বিষয় নিয়ে চিন্তা ও ভাবনায় ফেলে দিতে পারে সরকারকে।
এক্ষেত্রে অতিদ্রুত লকডাউন কড়া নির্দেশনা পালনের বিকল্প নেই বলেই মনে করছেন বিশিষ্টজনেরা। একই সাথে গরীবের জন্য করোনা উত্তোরণ পরিস্থিতি জরুরিভাবে নিতে হবে সরকারের সাথে ধর্ণাঢ্য শ্রেনির মানুষদের এই সময়ে।
(ঊষার আলো-এমএনএস)