UsharAlo logo
সোমবার, ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এবার খুলনাঞ্চলে বৃষ্টির পরিমান বাড়বে

usharalodesk
মে ২, ২০২১ ১:১৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো প্রতিবেদক : প্রচন্ড তাপপ্রবাহের কারণে আটমাস বৃষ্টির দেখা নেই। প্রখর রোদে মাঠ-ঘাট ফেটে চৌচির। অনাবৃষ্টির কারণে বোরো ও তরমুজের কাঙ্খিত ফলন হয়নি। গত শুক্র ও শনিবার কালবৈশাখী ও বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও হয়নি তা। বাতাসের ধরণ পরিবর্তন হয়েছে। ফলে দক্ষিনী বায়ু দেশের ভূ-খন্ডে তেমন প্রবেশ করছে না। তবে আবহাওয়ার আরও পরিবর্তন হবে এ মাসে বৃষ্টি বাড়বে। অন্যান্যবারের তুলনায় এবার খুলনাঞ্চলে বৃষ্টির পরিমান বাড়বে বলে আবহাওয়াবীদরা মনে করছেন।
গত সাত বছরের রেকর্ড ছাড়িয়ে ২৫ এপ্রিল যশোরের তাপমাত্রা ছিল ৪১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০১৯ সালের ১৫ এপ্রিল খুলনার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫.৫ ডিগ্রি, ২০২০ সালের একই দিনে ৩২ ডিগ্রি, এ বছরের ১৫ এপ্রিল ৩৬ ডিগ্রি ও ২৫ এপ্রিল ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। খুলনার আবহাওয়া কর্মকর্তা আমিরুল আজাদ জানান, গত ৫ এপ্রিল সর্বশেষ বৃষ্টিপাত হয় ২ মি. মি.। তিনি বলেন, মে মাসে তাপমাত্রা ওঠানামা করতে পারে।
নেই শক্তিশালী পশ্চিমা লঘুচাপ। আর দক্ষিণা বায়ু ও পশ্চিমা লঘুচাপের মিশ্রণ ঘটাতে না পারায় বৈশাখে দীর্ঘ হয়েছে বৃষ্টিহীন দিন। আবহাওয়া অধিদপ্তরের সূত্রগুলো বলেছে, পশ্চিমা লঘুচাপ ভূ-মধ্য সাগর থেকে ভারত হয়ে দেশে প্রবেশ করে। তবে বঙ্গোপসাগর থেকে উঠে আসা দক্ষিণ বায়ু ব্যাপক জলীয় বাষ্প এনে মিশে যায় এর সঙ্গে। ফলে বৈশাখের এ সময় প্রচুর বৃষ্টি ও কালবৈশাখীর সম্ভাবনা থাকে। এবার সেটা এখনও ঘটেনি। এ মৌসুমে পাঁচবারের মতো দাবদাহের সৃষ্টি হয়েছে।
আবহাওয়াবীদ বজলুর রহমান জানান, এপ্রিল মাসের শেষদিকে সাধারণত শক্তিশালী পশ্চিমা লঘুচাপ থাকে। কিন্তু সে অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। কিছু এলাকায় হঠাৎ বৃষ্টিপাত হয়েছে এবং হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) রাতের এক পূর্বাভাসে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে লঘুচাপের বর্ধিত অংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। সে কারণে খুলনা বিভাগে দু’একদিনের মধ্যে কালবৈশাখীর ঝড় বয়ে যেতে পারে। এখন যে মৃদু তাপদাহ চলছে তা প্রশমিত হবে। টানা কয়েক দফা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে মে মাসে।

(ঊষার আলো-এমএনএস)