UsharAlo logo
শনিবার, ১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এবার ট্রুডোর সামনেই খালিস্তানি স্লোগান, কানাডার রাষ্ট্রদূতকে তলব

usharalodesk
এপ্রিল ৩০, ২০২৪ ১১:০৭ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো ডেস্ক : কানাডায় বসবাসরত খালিস্তানপন্থি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের খুনের ঘটনায় পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে ভারতকে অভিযুক্ত করেছিলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। সাত মাস আগের সেই ঘটনা নিয়ে নয়াদিল্লি-অটোয়ার মধ্যে ব্যাপক কূটনৈতিক টানাপড়েন তৈরি হয়েছিল। এবার জাস্টিন ট্রুডোর সামনেই ‘স্বাধীন ও সার্বভৌম খালিস্তান রাষ্ট্রে’র দাবিতে স্লোগান দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

এ ঘটনার জেরে সোমবার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। ভারতে থাকা কানাডার রাষ্ট্রদূতকে তলব করে এ বিষয়ে ‘গভীর উদ্বেগ এবং কড়া প্রতিক্রিয়া’ জানানো হয়েছে বলে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে।

আল জাজিরা ও রয়টার্সসহ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, রোববার টরন্টোতে ‘খালসা দিবস’ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো। সেখানে তার বক্তৃতার সময়ই স্বাধীন খালিস্তানের দাবিতে স্লোগান দেওয়া হয়।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই ঘটনা ভারত-কানাডার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

কানাডা সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টের ভিত্তিতে গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর খালিস্তানি নেতা নিজ্জরের খুনের জন্য সে দেশের পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে ভারতকে অভিযুক্ত করেন ট্রুডো। গত জুন মাসে খালিস্তানপন্থি সংগঠন ‘খালিস্তান টাইগার ফোর্স’ (কেটিএফ)-এর প্রধান তথা কানাডার সারের গুরু নানক শিখ গুরুদ্বার সাহিবের প্রধান নিজ্জরকে গুরুদ্বার চত্বরের মধ্যেই গুলি করে খুন করা হয়। সেই ঘটনার তদন্তে ভারতের গুপ্তচর সংস্থার ভূমিকা ছিল বলে জানিয়ে ট্রুডো বলেছিলেন, আমাদের কাছে যথাযথ প্রমাণ রয়েছে যে, ওই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ এর হাত আছে।

ট্রুডোর ওই মন্তব্যের পর নয়াদিল্লি-অটোয়া কূটনৈতিক সংঘাত তুঙ্গে উঠেছিল। প্রথমে কানাডার এক ভারতীয় কূটনীতিককে বহিষ্কার করা হয়। সে দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলি জানিয়েছিলেন, ওই ব্যক্তি ‘র’-এর কানাডার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব সামলাতেন। ওই পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় নরেন্দ্র মোদি সরকার কানাডার এক শীর্ষ কূটনীতিককে পাঁচ দিনের মধ্যে দিল্লি ছাড়ার নির্দেশ দেয়। পাশাপাশি নিজ্জর খুনের ঘটনায় দায় অস্বীকার করে ভারত।

পরবর্তী পদক্ষেপে কানাডার নাগরিকদের ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রেও বিধিনিষেধ জারি করা হয়। যার প্রতিক্রিয়ায় ট্রুডো সরকার ভারতে অবস্থানকারী কানাডার নাগরিকদের উদ্দেশে ‘বিশেষ নিরাপত্তামূলক সতর্কতা’ জারি করেছিল।

ঊষার আলো-এসএ