UsharAlo logo
সোমবার, ২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

এয়ারবাসের ১০ উড়োজাহাজ কিনছে সরকার

usharalodesk
মে ৮, ২০২৪ ১০:৫৩ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো রিপোর্ট: বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান বলেছেন, এয়ারবাস কোম্পানির কাছ থেকে ১০টি উড়োজাহাজ কিনবে সরকার। মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ ও উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী অ্যানি ম্যারি ট্রেভেলেইনের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, বেসামরিক বিমান খাতে কী করা যায়, সেটাই ছিল আমাদের আলোচনার মূলকেন্দ্র। তারা আমাদের নতুন বিমানবন্দর দেখেছেন। তারা বুঝতে পেরেছেন যে এখানে অনেক কাজ হবে। ইউরোপে তারা এয়ারবাস বানায়, আমাদের বোয়িং আছে। আমরা এয়ারবাস কেনার কথাও ভাবছি।

বাংলাদেশের থার্ড টার্মিনাল, সৈয়দপুর বিমানবন্দরসহ ট্যুরিজম খাতে কারিগরি সহায়তাও করবে যুক্তরাজ্য। এক্ষেত্রে কর্মীদের আধুনিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে দেশটি। আগামী ছয় মাসের মধ্যে থার্ড টার্মিনাল উদ্বোধন হবে বলে জানান বিমানমন্ত্রী।

ফারুক খান বলেন, এয়ারবাস এরই মধ্যে অর্থনৈতিক প্রস্তাব দিয়েছে। সেগুলো ভালোভাবে পরীক্ষা করে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। এবারই তারা একটি সমঝোতা স্মারকে সই করার কথা বলেছে। কিন্তু আমরা বলেছি, আগে মূল্যায়ন শেষ হোক, তারপর সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হবে। এছাড়া সিকিউরিটি, গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং নিয়েও কথা হয়েছে। এসব খাতে তাদের বিনিয়োগের সম্ভাবনা আছে। তারা জানেন, ঢাকা ছাড়াও সিলেট ও কক্সবাজারে আমাদের দুটো বিমানবন্দরে উন্নয়নকাজ চলমান আছে। তারা আরও জানতে পেরেছেন, সৈয়দপুরে একটা বিমান হাব তৈরির চেষ্টা করছি। এসব কারণে তারা বেসামরিক বিমান খাত নিয়ে অনেক আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

ভালো প্রস্তাব বলতে তারা কী দিতে চেয়েছে বা বাংলাদেশ কতটি উড়োজাহাজ কিনতে চায় এবং উড়োজাহাজ কিনতে কত টাকা লাগবে সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, ব্যাংক থেকে যে ঋণ দেওয়া হবে তার সুদ, সেই সঙ্গে টেকনিক্যাল বিষয়গুলোতে বেশ ভালো প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ১০টির মতো এয়ারবাস কিনতে চায় বলেও জানান বিমানমন্ত্রী। তবে এ বিমান কিনতে কত টাকা লাগতে পারে, তা নির্ভর করবে কীভাবে প্রস্তাব আসে তার ওপর বলেও জানান তিনি।

সাংবাদিকদের অপর প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, বোয়িংয়ের ৭৮৭ ড্রিমলাইনের বিষয়ে পত্রিকায় বিভিন্ন কথা এসেছে। আমরা এই মুহূর্তে বিষয়টিকে এত বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি না। তবে বোয়িংয়ের সঙ্গে কথা বলে কারিগরি বিষয়গুলো জানতে বলেছি। এই মুহূর্তে আমরা কোনো সমস্যা পাইনি। এই মুহূর্তে আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছু নেই। একজন কিংবা দুজনের কথার ওপর ভিত্তি করে আমরা কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। তবে এ বিষয়ে আমরা সতর্ক ও জানার চেষ্টা করছি। বৈঠকে বাংলাদেশের সার্বিক উন্নতিতে আনন্দ প্রকাশ করে যুক্তরাজ্যের প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং ২০২৬ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হবে। সেক্ষেত্রে এভিয়েশন শিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। বাংলাদেশ তার বিমানবন্দরগুলোর উন্নয়ন করছে। নতুন টার্মিনাল নির্মিত হয়েছে। এ কারণে আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে এভিয়েশন শিল্পের নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমাদের দক্ষতা শেয়ার করতে চাই।

ঊষার আলো-এসএ