UsharAlo logo
শনিবার, ১০ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৭শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এস-৪০০ এবং সামরিক অবকাঠামো ক্ষতির দাবি নাকচ ভারতের

ঊষার আলো ডেস্ক
মে ১০, ২০২৫ ৫:০০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

পাকিস্তানের হামলায় ভারতের সামরিক অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে ইসলামাবাদ যে দাবি করেছে, যা অস্বীকার করেছে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

ভারতীয় বিমান বাহিনীর উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং সংবাদ সম্মেলনে বলেন, পাকিস্তান ক্রমাগত বিদ্বেষপূর্ণ বিভ্রান্তিকর প্রচারণা চালানোর চেষ্টা করেছে। তারা বলছে আদমপুরে ভারতীয় এস-৪০০ এর ক্ষতি হয়েছে, সুরাট ও সিরসায় বিমানঘাঁটি ধ্বংস হয়েছে, নাগরোটায় ব্রহ্মোস স্পেস, ডেরাঙ্গিয়ারি ও চণ্ডীগড়ে আর্টিলারি অবস্থান এবং চণ্ডীগড়ের গোলাবারুদ ডিপো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে তারা দাবি করছে।

তিনি বলেন, ভারত পাকিস্তানের এই মিথ্যা দাবিগুলিকে স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করছে।

একই সংবাদ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি বলেন, আমি আগেও বেশ কয়েকবার বলেছি যে পাকিস্তানি কর্মকাণ্ড উসকানি তৈরি করেছে এবং উত্তেজনা বাড়াচ্ছে।

তিনি পাকিস্তানের সব দাবি ভিত্তিহীন বলে অভিহিত করে বলেন, আজ সকালে, আমরা আবারও এই উসকানিমূলক দৃষ্টিভঙ্গি দেখতে পেয়েছি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও দাবি করা হয়েছে যে ‘পাকিস্তানি সেনাবাহিনী তাদের সৈন্যদের সামনের দিকে পাঠিয়েছে, যা ইঙ্গিত দেয় যে তারা পরিস্থিতি আরও খারাপ করে তুলতে চায়।’

সেখানে বলা হয়, ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী কার্যকরভাবে সব শত্রুতাপূর্ণ পদক্ষেপ প্রতিহত করেছে এবং উপযুক্ত জবাব দিয়েছে। ভারতীয় বাহিনী উত্তেজনা হ্রাসের প্রতি তাদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে।

এদিকে পারমাণবিক অস্ত্রধারী প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে কয়েকদিন ধরে চলা সীমান্ত উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানের দিকে যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে ভারত—এমনটি দাবি করেছে ব্রিটিশ দৈনিক দ্য টেলিগ্রাফ।

পত্রিকাটি জানায়, ভারতীয় প্রতিরক্ষা সূত্রের বরাতে জানা গেছে, নয়াদিল্লি তার পশ্চিমাঞ্চলীয় নৌবহরকে উত্তর আরব সাগরের দিকে এগিয়ে নিয়ে গেছে, যা করাচি উপকূল থেকে মাত্র ৩০০-৪০০ মাইল দূরে অবস্থান করছে।

এই স্ট্রাইক গ্রুপে রয়েছে একটি এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার, ডেস্ট্রয়ার, ফ্রিগেট ও সাবমেরিন বিধ্বংসী জাহাজ। এর কিছু জাহাজে রাশিয়ার সহায়তায় নির্মিত ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে, যার গতি ম্যাক ৩ পর্যন্ত এবং এটি ৫০০ মাইল দূরের লক্ষ্যবস্তুতে ৩০০ কেজির ওয়ারহেড নিক্ষেপে সক্ষম।

বিশ্লেষকরা সতর্ক করে বলেছেন, ভারতের এই পদক্ষেপ অঞ্চলের জন্য মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনতে পারে এবং এতে পারমাণবিক যুদ্ধের শঙ্কা আরও বেড়েছে।

ঊষার আলো-এসএ