চলতি মাসের শেষ দিকে আত্মপ্রকাশ ঘটতে যাচ্ছে ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক দলের। আর সেই দলে যোগ দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টার পদ ছাড়ছেন নাহিদ ইসলাম। বেসরকারি একটি টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন উপদেষ্টা নাহিদ।
রাজনৈতিক দলে যোগ দেওয়া ও পদত্যাগ প্রসঙ্গে নাহিদ বলেন, ‘আমরা যারা গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণ করেছিলাম, মূলত ছাত্ররাই এটার নেতৃত্বে ছিল। ছাত্র এবং গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্বে একটা নতুন রাজনৈতিক দলের পরিকল্পনা বা আলোচনা রয়েছে। সেই দলে যদি অংশগ্রহণ করতে হয় তবে অবশ্যই সরকারে থেকে সেটা সম্ভব না। সেই দলে যদি আমি যেতে চাই তবে সরকার থেকে আমি পদত্যাগ করব।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে যেহেতু সরকারে একটা স্থিতিশীলতা এসেছে, যদিও প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ হয়নি- কিন্তু সেটা চলমান আছে। আমাদের এখন রাজনৈতিক দলের কাজটা বেশি জরুরি। সেখানে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিন্তা-ভাবনা করছি। যদি সরকারে থাকার চেয়ে জনগণের সঙ্গে মাঠে কাজ করাটা বেশি জরুরি মনে হয় তাহলে আমি সরকার ছেড়ে দেব এবং হয়তো সেই দলের প্রক্রিয়ায় যুক্ত হব।’
ঠিক কবে নাগাদ আসতে পারে রাজনৈতিক দল এবং তিনি কবে পদত্যাগ করবেন- এমন প্রশ্নে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘ঘোষণা হয়েছে যে এ মাসেই দল গঠন হবে। যদি তাই হয় তবে এ মাসেই সরকার ছেড়ে দলে অংশ নিব। আর কয়েক দিনের মধ্যেই একটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সবাই পাবেন, আপনারা জানতে পারবেন।’
তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘গত ছয় মাস ধরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি কাজ করেছে। সারা দেশে তারাই মাঠ পর্যায়ে সাংগঠনিক কাজটা করে যাচ্ছে। আমি তো সরকারে দায়িত্বে ছিলাম, দল গোছানোর কাজটা তারাই করছে।’
এছাড়াও পতিত আওয়ামী লীগ সরকার ও দলটির রাজনৈতিক কার্যক্রম অধ্যাদেশ নয় বরং বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে জানান তিনি। আর সেটা হতে পারে নির্বাচনের আগেই। সেই সঙ্গে নির্বাচন নিয়ে বিএনপির অবস্থান পরিষ্কার করায় সরকারের সাথে দূরত্ব কমেছে বলেও মনে করেন নাহিদ ইসলাম।
ঊষার আলো-এসএ