ঊষার আলো ডেস্ক : জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, সময় দ্রæত চলে যাচ্ছে। আমরা আমাদের জীবনের লড়াইয়ে আছি এবং ক্রমাগত এতে হেরে যাচ্ছি। জলবায়ু নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হোন, নইলে সম্মিলিতভাবে আত্মহত্যার চুক্তি করুন।
সোমবার (০৭ নভেম্বর) মিসরে জাতিসংঘ আয়োজিত জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক সম্মেলন কপ-২৭-এ দেয়া বক্তব্যে জাতিসংঘের প্রধান এসব কথা বলেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গুতেরেস বলেন, গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ বাড়ছে। এতে বৈশ্বিক উষ্ণায়নও বাড়ছে। আমরা জলবায়ু নরকের মহাসড়কে আছি এবং আমাদের পা এখনও এক্সিলারেটরে রয়েছে।
ইউক্রেন এবং অন্যান্য সংঘাত সারা বিশ্বে নাটকীয় প্রভাব ফেলেছে। কিন্তু আমাদের মনোযোগ জলবায়ু পরিবর্তনের দিকে নেই। এটি আমরা মেনে নিতে পারি না ।
এ সময় গুতেরেস কার্বন নিঃসরণ ও তাপমাত্রা বৃদ্ধি কমাতে ধনী এবং উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে একটি চুক্তির আহ্বান জানান। পাশাপাশি প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমিত রাখার বিষয়ে বিশ্ব নেতাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, লক্ষ্য হওয়া উচিত সবার জন্য নবায়নযোগ্য এবং সাশ্রয়ী জ্বালানি সরবরাহ করা। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনসহ বিশ্বের শীর্ষ কার্বন নিঃসরণকারী দেশগুলোকে এ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়ারও আহ্বান জানান গুতেরেস।
বৈশ্বিক তাপমাত্রা এরইমধ্যে এক দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে গেছে, যা পুরো বিশ্বব্যাপী দুর্যোগের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
বৈশ্বিক উষ্ণায়নে আফ্রিকাতে খরা দেখা দিয়েছে, পাকিস্তানেও দেখা দিয়েছে ভয়াবহ বন্যা । বিশ্বব্যাংক জানায়, এই বন্যায় পাকিস্তানে ৩০ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয়েছে।
এবারের জলবায়ু আলোচনায় উন্নত দেশগুলোর কাছে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে প্রতিশ্রুত ক্ষতিপূরণ দেয়ার বিষয়টি প্রাধান্য পাবে। কার্বন নিঃসরণ কমানো ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীকে বাঁচাতে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য ধনী দেশগুলো ১০০ বিলিয়ন ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। যদিও এ অঙ্ক প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। তারপরও ধনী দেশগুলো প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী অর্থ বরাদ্দ করছে না। এতে বৈশ্বিক এই সংকট মোকাবিলায় তেমন কোনো অগ্রগতিও পরিলক্ষিত হচ্ছে না।