UsharAlo logo
শুক্রবার, ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ওষুধের দাম খেয়াল খুশিমতো বৃদ্ধি, যে নির্দেশ দিলেন হাইকোর্ট

usharalodesk
এপ্রিল ৩০, ২০২৪ ১০:৩৩ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো রিপোর্ট : দেশে ওষুধের দাম খেয়ালখুশিমতো বৃদ্ধি রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি আমদানি করা অনুমোদনহীন ওষুধ বিক্রি বন্ধের ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ওষুধ কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে তা জানাতে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে বলা হয়েছে। সরকারের অনুমোদন ছাড়া ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানিগুলো যাতে কাঁচামাল আমদানি করতে না পারে সে ব্যাপারেও বলা হয়েছে। একই সঙ্গে অব্যাহতভাবে ওষুধের দাম বৃদ্ধি রোধে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।

সোমবার এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রিটকারীর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জ্যোর্তিময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়। সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ ও আনিচ উল মাওয়া।

১১ মার্চ একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত ‘দুই সপ্তাহে ওষুধের দাম বেড়েছে ৭ থেকে ১৪০ শতাংশ’ শিরোনামের প্রতিবেদন যুক্ত করে রিট আবেদন করে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ক্যাব।

প্রতিবেদনে বলা হয়, দুই মাসে দেশের বিভিন্ন কোম্পানি তাদের উৎপাদিত ওষুধের দাম লাগামহীনভাবে বাড়িয়েছে। অন্তত ৫০ ধরনের ওষুধের দাম ২০ থেকে সর্বোচ্চ ১৪০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। মার্চের প্রথম সপ্তাহেও বেশ কয়েকটি ওষুধের দাম বাড়ানো হয়েছে। অ্যান্টিবায়োটিক ট্যাবলেট, ডায়াবেটিস রোগীদের ইনসুলিন ও ইনজেকশনের দাম সবচেয়ে বেশি বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া হƒদরোগ, উচ্চরক্তচাপজনিত সমস্যা, হাঁপানিসহ বিভিন্ন ওষুধ এবং ভিটামিনের দামও বাড়ানো হয়েছে। জ্বর-সর্দির ট্যাবলেট-ক্যাপসুল, বিভিন্ন অসুখের সিরাপও বাদ যায়নি।

ড্রাগস অ্যান্ড কসমেটিকস অ্যাক্ট-২০২৩-এর ৩০ ধারা অনুযায়ী যেসব কোম্পানির ওষুধের দাম নির্ধারণ করা হয়নিÑসেগুলোর কাঁচামাল আমদানি ও বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার নির্দেশনা রিটে চাওয়া হয়েছে। ড্রাগস অ্যান্ড কসমেটিকস অ্যাক্টের ৩০ ধারা অনুযায়ী সব ওষুধের দাম নির্ধারণ করার ক্ষেত্রে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং একই আইনের ৭৬ ধারা অনুযায়ী বিধি প্রণয়নের মাধ্যমে সব ওষুধের দাম নির্ধারণ করতে কেন

নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে রুল জারির আবেদন জানানো হয়। রুল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় ওষুধের দাম নির্ধারণের জন্য বিচারিক নির্দেশিকা তৈরির নির্দেশনা চাওয়া হয়।

রিটে আরও বলা হয়, সরকার গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে ওষুধের দাম নির্ধারণ করবে। কিন্তু ২০০০ সালের পর থেকে সরকার এ ধরনের কোনো গেজেট নোটিফিকেশন জারি করেনি। ১৫ মাসে ১১৭টি ওষুধের দাম ১৩ থেকে ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত  বৃদ্ধি করা হয়েছে। কিন্তু সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো দৃষ্টিপাত করেনি। ওষুধের দাম বৃদ্ধি ও নিয়ন্ত্রণ এবং পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও ওষুধ প্রশাসনের মহাপরিচালকের। কিন্তু তারা কোনো পদক্ষেপ নেননি।

ঊষার আলো-এসএ