ঊষার আলো ডেস্ক : ভারতে মহামারি করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ কেড়ে নিয়েছিল প্রখ্যাত কবি শঙ্খ ঘোষকে। কিছুদিন আগেই ৮৯ বছর বয়সে তিনি পরলোকগমন করেন।
১৯৩২ সালে অবিভক্ত বাংলার চাঁদপুরে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার আসল নাম হল চিত্তপ্রিয় ঘোষ।
কলতাকার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে বাংলা ভাষায় ও সাহিত্যে স্নাতক করার পর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর করেন তিনি। পেশা হিসেবে অধ্যাপনাকেই বেছে নেন কবি শঙ্খ ঘোষ। তিনি কলকাতার সিটি কলেজ, বঙ্গবাসী কলেজ ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন।
১৯৬৭ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের আইওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক লেখক কর্মশালায় যোগ দেন। পরে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, সিমলার ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব অ্যাডভান্সড স্টাডিজ ও দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়েও অধ্যাপনা করেন কবি শঙ্খ ঘোষ।
শঙ্খ ঘোষ তার জীবদ্দশায় বহু পুরস্কার পেয়েছেন। ১৯৭৭ সালে ‘মূর্খ বড়, সামাজিক নয়’ কাব্যগ্রন্থের জন্য নরসিংহ দাস পুরস্কার এবং সেই বছরই ‘বাবরের প্রার্থনা’ কাব্যগ্রন্থের জন্য সাহিত্য অ্যাকাডেমি পুরস্কার পান শঙ্খ ঘোষ।তিনি ১৯৮৯-এ ‘ধুম লেগেছে হৃদকমলে’ কাব্যগ্রন্থের জন্য রবীন্দ্র পুরস্কার ও ‘গান্ধর্ব কবিতাগুচ্ছ’ এর জন্য সরস্বতী পুরস্কার এবং ২০১৬ সালে জ্ঞানপীঠ পুরস্কার পান।
১৯৯৯ সালে বিশ্বভারতীর দ্বারা দেশিকোত্তম সম্মানে ও ২০১১ সালে ভারত সরকারের পদ্মভূষণ সম্মানে সম্মানিত হন এ কবি।
কবিতার পাশাপাশি তিনি রবীন্দ্রচর্চাতেও বেশ প্রসিদ্ধি ছিলেন। ‘ওকাম্পোর রবীন্দ্রনাথ’ তার একটি উল্লেখযোগ্য গবেষণা গ্রন্থ। প্রাবন্ধিক হিসেবেও বেপক সুবিদিত ছিলেন তিনি। ‘উর্বশীর হাসি’, ‘এখন সব অলীক’ ও ‘শব্দ আর সত্য’, বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য প্রবন্ধগ্রন্থও রয়েছে তার। আসলে কখা যখন লেখা নিয়ে তার বা কখা যখন কবিতা নিয়ে সেক্ষেত্রে শঙ্খ ঘোষের অবদান অতুলনীয়।
(ঊষার আলো-এফএসপি)