ক্রীড়া ডেস্ক : সাকিব আল হাসান বাংলাদেশের সব ধরনের ক্রিকেট থেকে এক প্রকার ব্রাত্যই হয়ে পড়েছেন। তার প্রধান কারণ তার রাজনীতি সংশ্লিষ্টতা, সঙ্গে যোগ হয়েছে বোলিং অ্যাকশনের কারণে তার নিষিদ্ধ হওয়াও। যার ফলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলেও জায়গা পাননি তিনি।
সম্প্রতি একটি পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি কথা বলেছেন বেশ কিছু বিষয় নিয়ে। তাতে উঠে এসেছিল সাকিব প্রসঙ্গও। সবশেষ ফ্যাসিবাদী সরকারের অংশ ছিলেন তিনি। যার ফলে পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আর সব সংসদ সদস্যদের মতো সাকিবও দেশে ফিরতে পারছেন না।
যে কারণে ঘোষণা দিয়েও বিদায়ী টেস্টটা মিরপুরে খেলতে পারেননি তিনি। চলমান বিপিএলে চিটাগং কিংসের হয়ে খেলার কথা থাকলেও তিনি খেলতে পারছেন না, কারণ একই। তবে সাকিব খেলোয়াড়ি জীবনে রাজনীতিতে জড়িয়েছিলেন, বিষয়টা ভালো চোখে দেখেননি মরিসন।
তিনি বলেন, ‘সাকিবের বিষয়টা খুবই অদ্ভুত। আমি উপমহাদেশে ঘুরে এ বিষয়টা বুঝতে পেরেছি যে রাজনীতি বিষয়টা বেশ চ্যালেঞ্জের, সেটা আরও বেড়ে যায় যখন আপনি একসঙ্গে ক্রিকেটও খেলছেন। রাজনীতি করতে চাইলে ক্রিকেট থেকে অবসরে চলে যাওয়াটাই ভালো ছিল।’
৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে সাকিব অবশ্য বাংলাদেশ দলের হয়ে খেলেছেন। দুটো করে টেস্ট খেলেছেন পাকিস্তান আর ভারতে। তবে তার মাঝের সময়টায় কাউন্টি ক্রিকেটে খেলতে গিয়েছিলেন সারের হয়ে। সেখানে তার বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আম্পায়ার। যা বিষয়টাকে আরও জটিলই করে তুলেছে, অভিমত মরিসনের, ’তারপর যোগ করুন তার বোলিং অ্যাকশনের সমস্যাটাকে। যা পরিস্থিতিটাকে আরও কঠিনই করে তুলেছে।’
সে বোলিং অ্যাকশন নিষিদ্ধ হওয়ার কারণেই শুধু ব্যাটার সাকিবকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে বিবেচনা করেননি নির্বাচকরা। যে কারণে সাকিবের ক্যারিয়ার নিয়েই সৃষ্টি হয়েছে শঙ্কা। তবে মরিসন আশা করছেন, শিগগিরই সাকিব ফিরবেন স্বমহিমায়।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করছি সাকিব আবার ফিরবে। সে বেশ লড়াকু খেলোয়াড়। খেলায় ফিরে এসে আবারও লড়াই করার সামর্থ্য তার আছে।’
ঊষার আলো-এসএ