ঊষার আলো রিপোর্ট : গাজীপুরের শ্রীপুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় হাসিবুল ইসলাম (৪০) নামে এক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার কেওয়া পশ্চিম খন্ড গ্রামের মসজিদ মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
এসময় কিশোর গ্যাং সদস্যদের হামলায় আহত হন নিহতের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার (৩৫), শ্যালকের স্ত্রী সালমা আক্তার (২৭), শ্যালক হানিফ (২৯) ও চালক জাহিদুল ইসলাম শিমুল (৩৫)। এ ঘটনায় অন্তর ও রোমান নামে দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের কাছে স্বর্ণালংকার লুটের ঘটনাও ঘটেছে।
নিহতের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার বলেন, স্বামী-সন্তান নিয়ে আমি শ্রীপুরের কেওয়া পশ্চিম খন্ড গ্রামের মসজিদ মোড় এলাকায় বাবার বাড়িতে বসবাস করি। আমার স্বামী মসজিদ মোড় এলাকায় ফার্মেসির দোকান আছে। গতকাল বুধবার আমরা ঢাকায় যাই। ঢাকার কাজ শেষে রওনা করে রাত ২টার দিকে প্রাইভেটকারে শ্রীপুরের বাসার সামনে এসে নামি। নামামাত্রই দেখতে পাই ৮/১০জন কিশোর রাস্তায় হইচই করছে। আমরা গাড়ি থেকে যখন ব্যাগগুলো নামাচ্ছি, তখন তারা আমাদের সামনে এসে এত রাতে কোথা থেকে এসেছি তা জানতে চান। এসময় তাদের চলে যেতে অনুরোধ করলে তারা অকথ্য ভাষায় গালাগালি করতে থাকে। এসময় আমার স্বামীর সঙ্গে তাদের বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে তাকে মারধর করে। গাড়িচালক শিমুল এগিয়ে এলে তাকেও মারধর করে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা।
পরে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাড়ির ভেতরে চলে যায়। কিছুক্ষণ পর তারা দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে আমার স্বামীকে ইট দিয়ে আঘাত করে এবং মারধর করে চলে যায়। মারপিটের এক পর্যায়ে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে আল-হেরা হাসপাতালে নেয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পরামর্শ দেন। পরে হাসিবুলকে উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীন মন্ডল বলেন, নিহত হাসিবুল ঢাকায় শ্বশুরবাড়ি বেড়ানো শেষে রাতে মাওনা বাসায় ফেরার পরপরই হামলার শিকার হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এঘটনায় এখন পর্যন্ত দুজনকে আটক করা হয়েছে। পলাতক রুবেলসহ বাকিদের আটকের চেষ্টা চলছে।
ঊষার আলো-এসএ