ক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গ সাংবাদিকদের বৃহত্তম বার্ষিক সমাবেশে বুধবার রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের যোগদান নিয়ে সংগঠনটির সদস্যরা বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। তাদের এক পক্ষ এই সমাবেশে ট্রাম্পের যোগদানের কড়া সমালোচনা করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গ সাংবাদিকদের বৃহত্তম বার্ষিক সমাবেশে বুধবার রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের যোগদান নিয়ে সংগঠনটির সদস্যরা বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। তাদের এক পক্ষ এই সমাবেশে ট্রাম্পের যোগদানের কড়া সমালোচনা করেছেন।
সাবেক প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে তার অবস্থান শক্তিশালী করার প্রচেষ্টা হিসেবে এই সমাবেশে যোগ দেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় নির্বাচন থেকে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সরে দাঁড়ানোর এক সপ্তাহ পর শিকাগোতে ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অফ ব্ল্যাক জার্নালিস্টের বার্ষিক কনভেনশনে এটি ছিল ট্রাম্পের প্রথম উপস্থিতি।
১৯৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত সংগঠনটি নিয়মিতভাবে প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের তাদের বার্ষিক সমাবেশে ভাষণ দেয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়ে থাকে।
সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ ২০০৪ সালে সংগঠনটির একটি সম্মেলনে বক্তব্য দেয়ার পর ট্রাম্পই প্রথম রিপাবলিকান যিনি এই প্রস্তাব গ্রহণ করেন।
সংগঠনটির কিছু সদস্য বলেছেন, নির্বাচনের আগে ট্রাম্পকে তাদের এই প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহারের সুযোগ দেয়া উচিত হয়নি।
তারা বলেছেন, ট্রাম্প অনেক সময়ই ব্যক্তিগতভাবে কৃষ্ণাঙ্গ সাংবাদিকদের কাজকে অবমাননা করেছেন এবং নির্বাচনি প্রচারে বর্ণবাদী ভাষার ব্যবহার করেছেন।
ট্রাম্পের এই সমাবেশে যোগদানের প্রতিবাদে ওয়াশিংটন পোস্টের কলামিস্ট কারেন আত্তিয়া কনভেনশনের ভাইস-প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন
আটলান্টা জার্নাল-কনস্টিটিউশন নামক সংবাদপত্রের সম্পাদক লেরয় চ্যাপম্যান জুনিয়র বলেন, ‘বিতর্কিত বিষয়গুলো স্বাভাবিক করার জন্য এখানে আমাদের যা দরকার তা হলো প্রেসিডেন্ট প্রার্থীরা সাংবাদিকদের সামনে দাঁড়িয়ে প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন।’
শিকাগোতে ওই সমাবেশে ট্রাম্প বক্তৃতা দেয়ার সময় বাইরে তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলছিল।
ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অফ ব্ল্যাক জার্নালিস্টের সদস্যদের একটি অংশ ট্রাম্পের সঙ্গে কাজের সম্পর্ক রক্ষা করতে চান।
যদিও কৃষ্ণাঙ্গ মালিকানাধীন আউটলেট এবং সাংবাদিকদের মধ্যে অধিকাংশ কঠোরভাবে ট্রাম্প-বিরোধী অবস্থান নিয়েছেন।
ট্রাম্প তার ২০১৬, ২০২০ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনের প্রচারের সময় অনেক মিডিয়া আউটলেটের সঙ্গে বৈরী সম্পর্ক তৈরি করেছেন এবং তার ২০১৭-২০২১ সালে প্রেসিডেন্ট থাকার সময় হোয়াইট হাউসের প্রেস সদস্যদের সঙ্গে বেশ কয়েকবার বিবাদে জড়িয়েছেন।