ঊষার আলো প্রতিবেদক : নগরীতে যৌতুকের দাবীতে স্ত্রীকে মারপিটের অভিযোগ উঠেছে খোদ খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। যৌতুকলোভি স্বামীর অত্যাচার থেকে রক্ষা ও জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে পুলিশ কমিশনারের নিকট আবেদন করেছেন ভুক্তভোগী এক সন্তানের জননী।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি গৃহবধূ গত ২ মার্চ কেএমপি কমিশনারের কাছে লিখিত আবেদনে উল্লেখ করেন, তার স্বামী কেএমপির গোয়েন্দা শাখার ইন্সপেক্টর নাহিদ হাসান মৃধার সাথে ২০১৪ সালের ফেব্রæয়ারি মাসের ১৪ তারিখে ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছে। যৌতুকের দাবি পূরণ করতে গিয়ে ওই গৃহবধূর পিতা তার সংসারের সবকিছুই দিয়েছেন। সম্প্রতি জমি ক্রয়ের জন্য ১৪ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে প্রতিনিয়ত মারপিট করে। গৃহবধূর শরীরের বিভিন্ন স্থানের আঘাতের ক্ষত রয়েছে। গত ১ মার্চ রাতে যৌতুকের জন্য মারপিট করার এক পর্যায়ে চাকু নিয়ে তাকে খুন করতে যায়। এ সময় গৃহবধূ অজ্ঞান হয়ে পরে। লিখিত অভিযোগে ওই গৃহবধূ আরও উল্লেখ করেন, যে কোন সময় তাকে ও তার একমাত্র পুত্র সন্তানকে খুন করতে পারে যৌতুক লোভী ওই পুলিশ ইন্সপেক্টর। তিনি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
গৃহবধূর পিতা বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলার চন্দ্রপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মনিরুজ্জামান পাইক বলেন, মেয়ের সুখের কথা ভেবে সকল আবদার পুরন করেছি। এখন আবার ১৪ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে প্রতিনিয়ত মারপিট করছে মেয়েকে। ১ মার্চ মারপিট করে এবং খুন করার হুমকি দেয়। আমার মেয়ে ২ মার্চ পুলিশ কমিশনার বরাবরে আবেদন করেছে এবং ৩ মার্চ সরাসরি কমিশনারের সাথে সাক্ষাত করলে কমিশনার মহোদয় আমার মেয়ের শারীরিক অবস্থা দেখে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেয়। সেমতে মেয়ে হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি আছে। আমরা আইনের আশ্রয় নেব।
এদিকে ওসিসির দায়িত্বপ্রাপ্ত এসআই নিলা জানান, গৃহবধু ওসিসিতে ভর্তি রয়েছে। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন আছে। আগামীকাল (রবিবার) নিয়ম অনুযায়ি আমরা ব্যবস্থা গ্রহন করবো।