UsharAlo logo
বৃহস্পতিবার, ২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কেশবপুরে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী এএসএইচকে সাদেক এঁর ১৪ তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন 

koushikkln
সেপ্টেম্বর ১০, ২০২১ ৪:৩৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি : কেশবপুর সাবেক শিক্ষামন্ত্রী এ,এস,এইচ,কে সাদেক-এঁর ১৪ তম মৃত্যুবার্ষিকীতে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাবেক শিক্ষামন্ত্রী, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য এ,এস,এইচ, কে সাদেক-এঁর ১৪ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (০৯ সেপ্টেম্বর) সকালে কেশবপুর আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে যশোর এ কর্মসূচি পালিত হয়।

জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এসএম রুহুল আমিন-এর সভাপতিত্বে এবং দপ্তর সম্পাদক মফিজুর রহমান মফিজের সঞ্চালনায় সকলের প্রাণপ্রিয় মরহুম নেতার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মৃতিচারণ করেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি তপন কুমার ঘোষ মন্টু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এইচ,এম আমির হোসেন, যশোর জেলা পরিষদের সদস্য আলহাজ্ব হাসান সাদেক,  সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাগরদাঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুল ইসলাম (মুক্ত), সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউপি সদস্য গৌতম রায়, উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি আলহাজ্ব নাহিদ হাসান, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চন্দ্র রায়,পাঁজিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম ( মুকুল), সুফলাকাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া মনি, যুবলীগের আহ্বায়ক কাউন্সিলর শহিদুজ্জামান বিশ্বাস, ছাত্রলীগের আহ্বায়ক আজহারুল ইসলাম মানিক প্রমূখ।

উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী রাবেয়া ইকবাল, মহিলা যুব লীগের যুগ্ন আহ্বায়ক রেহেনা ফিরোজ, শাহনাজ পারভীনসহ কেশবপুর সকল ইউনিযন থেকে আওয়ামী লীগ যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীরা।

মরহুম এ.এস.এইচ.কে সাদেক ১৯৩৪ সালের ৩০ এপ্রিল যশোরের কেশবপুর উপজেলার বড়েঙ্গা গ্রামের একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম ইয়াহিয়া সাদেক (যুগ্ম কমিশনার), মাতা আসগারুন্নিসা সাদেক। ৭ ভাই ও ২ বোনের মধ্যে এ.এস.এইচ.কে সাদেক  ৩য়।

৯৬ সালের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি শিক্ষামন্ত্রী হওয়ার পর শিক্ষাক্ষেত্রে এক আমূল পরিবর্তন সাধন করেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষাপদ্ধতির সাথে সমন্বয় রেখে দেশের সকল ফলাফলে ‘জিপিএ’ সিস্টেম চালু করার পাশাপাশি সৃজনশীল পদ্ধতি প্রবর্তনসহ শিক্ষাক্ষেত্রে তাঁর অবদান ছিল আকাশ ছোঁয়া।
তিনি ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস রূপে স্বীকৃতি আদায় এবং সুন্দরবনকে ইউনেস্কোর অধীনে অন্তর্ভুক্ত করতে সফল হয়েছিলেন। যার স্বীকৃতিস্বরূপ তাঁকে ২০১০ সালে মরণোত্তর একুশে পদক প্রদান করে সম্মানিত করা হয়।
দলীয় নেতাকর্মীদের দুর্নীতিমুক্ত রাখতে তিনি সবসময় খুব কঠোর ছিলেন। অবৈধ কোনো নিয়মনীতি তিনি কখনো মেনে নেননি বা প্রশ্রয় দেননি।
২০০১ সালে সারাদেশে আওয়ামী লীগের পরাজয় হলেও তিনি এমপি হয়েছিলেন কারণ তাঁর কাজ-কর্ম ও উন্নয়ন ছিল কেশবপুরবাসীর কাছে অভূতপূর্ব। পরবর্তীতে ১/১১ ধরপাকড়ের সময় তাঁর সাবেক কর্মকান্ডের হিসাব-নিকাশে শিক্ষাক্ষেত্রে কোনো দুর্নীতি খুঁজে পাওয়া যায়নি এবং তাঁর গায়ে কোনো কলঙ্ক লেপন করতে পারেনি কেউ। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস ২০০৭ সালের ৯ সেপ্টেম্বর এ মহান নেতার আকস্মিক মৃত্যুতে কেশবপুরবাসী বাকরুদ্ধ হয়ে পড়ে।