UsharAlo logo
বৃহস্পতিবার, ৩রা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৯শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কোনো পলাতক আসামির মামলা শুনবেন না হাইকোর্ট

ঊষার আলো
জুন ৫, ২০২২ ১২:৪৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো রিপোর্ট : কোনো পলাতক আসামির মামলা শুনবেন না হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, যদি কোনো আইনজীবী পলাতকদের পক্ষে মামলা নিয়ে আসেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমানরার রুল জারি করা হবে।রোববার (৫ জুন) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।

ওই বেঞ্চে উপস্থিত সব আইনজীবীদের উদ্দেশ্য করে আদালত বলেন, আপনাদের সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি, যেসব আসামি মামলার প্রসিডিংসের বাইরে রয়েছেন, কিংবা পলাতক রয়েছেন তাদের পক্ষে কেউ অ্যাপেয়ার করবেন না। এরপরও যদি কেউ পলাতকদের পক্ষে মামলা নিয়ে আসেন তাহলে সে সব আইনজীবীদের বিরুদ্ধে কনটেম্পট রুল ইস্যু করবো।

এ সময় আদালতে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক এবং দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান উপস্থিত ছিলেন।   এদিকে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান আইনের দৃষ্টিতে পলাতক। তার মামলা ‍শুনে হাইকোর্ট ভুল করেছেন আপিল বিভাগের এমন রায় হাইকোর্টের একই বেঞ্চে দাখিল করা হয়েছে।

ওই রায়ে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ বলেছেন- বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান আইনের দৃষ্টিতে পলাতক। দুর্নীতির মামলা বাতিলে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৬১ক ধারায় করা তার আবেদন শুনে ও আদেশ দিয়ে হাইকোর্ট আইনানুযায়ী ভুল করেছেন।

গত বুধবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ ‌ডা. জোবাইদা রহমান বনাম রাষ্ট্র ও অন্যান্য মামলার পূর্ণাঙ্গ রায়ে এমন পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন।রায়ে বলা হয়েছে, দুর্নীতির মামলায় জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেননি বিচারিক আদালত। যেখানে অভিযোগ আমলে নেয়নি সেখানে কী করে উনি মামলা বাতিল চেয়ে ৫৬১ ক ধারায় আবেদন করেছেন।

আর যখন আবেদনটি করেছেন তখন উনি আইনের দৃষ্টিতে পলাতক। আইনের দৃষ্টিতে একজন পলাতক ব্যক্তির করা ওই আবেদন শুনে মামলার বিচার কাজ স্থগিতের পাশাপাশি রুল জারি করেছেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ। আমরা মনে করি হাইকোর্টের এ ধরনের আদেশ দেওয়া আইনানুযায়ী সঠিক ছিল না। কারণ আইনের দৃষ্টিতে পলাতক ব্যক্তির আইনি প্রতিকার চাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

আপিল বিভাগ রায়ে বলেছেন, সংবিধানের ২৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, সব নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের বিচারকরা ভয়ভীতির ঊর্ধ্বে উঠে ও পক্ষপাতিত্বের আশ্রয় না নিয়ে বিচার কাজ পরিচালনার শপথ নিয়েছেন। যেকোনো পরিস্থিতিতে বিচার বিভাগ এ নীতিতে অবশ্যই অটল থাকবে।

বিচার বিভাগ এমন কোনো নজির সৃষ্টি করবে না যা সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। রায়ে আপিল বিভাগ বলেছেন, প্রত্যেক নাগরিকের আদালত থেকে সমান বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছেন। কারণ আইনের দৃষ্টিতে কেউ বড় বা ছোট নয়, সবাই সমান।

ঊষার আলো-এসএ