দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৭ রানে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নবম আসরের শিরোপা জিতেছে ভারত। ২০০৭ সালের পর দ্বিতীয়বারের মত ভারতের শিরোপা জয়ের পর টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষনা দেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও দলের সেরা ব্যাটার বিরাট কোহলি।
ফাইনালে ৫৯ বলে ৭৬ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংসের সুবাদে ম্যাচ সেরা হন কোহলি। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ম্যাচ সেরার ট্রফি নিতে এসে টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা দেন কোহলি। তিনি বলেন, ‘এটাই আমার শেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এটি আমরা অর্জন করতে চেয়েছি। একদিন আপনার মনে হবে রানই করতে পারছেন না, তারপরে কিছু ঘটবে। ঈশ্বর মহান। হয়তো এখন নয়তো আর কখনো নয়। এমন এক পরিস্থিতিতে দলের হয়ে সেরাটা দিতে পেরেছি আমি। ভারতের হয়ে এটিই আমার শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। আমরা শিরোপা জিততে চেয়েছিলাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষনা দিচ্ছি। এটা তো ওপেন সিক্রেট। বিষয়টি এমন কিছু ছিল না যে আমরা হেরে গেলে ঘোষণা করবো না। পরবর্তী প্রজন্মের জন্য টি-টোয়েন্টি খেলাকে এগিয়ে যাওয়ার সময় এসেছে। আইসিসি টুর্নামেন্ট জয়ের জন্য আমাদের বড় অপেক্ষা ছিলো। রোহিতের মতো একজনকে দেখুন, সে ৯টি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলেছে এবং এটি আমার ষষ্ঠ । এই শিরোপা তার প্রাপ্য।’
২০১০ সালের জুনে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয় কোহলির। ভারতের হয়ে ১২৫ টি-টোয়েন্টিতে ১টি সেঞ্চুরি ও ৩৮টি হাফ-সেঞ্চুরিতে ৪১৮৮ রান করেছেন তিনি। টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হিসেবে ক্যারিয়ার শেষ করলেন কোহলি। ২০১৪ ও ২০১৬ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছিলেন ভারতের সাবেক এই অধিনায়ক। টি-টোয়েন্টিতে কোহলির ৫০ ম্যাচের অধীনে ভারত ৩০টিতে জয় ও ১৬টিতে হেরেছে।
কোহলির পর সংবাদ সম্মেলনে অবসরের ঘোষনা দেন রোহিত। তিনি বলেন, ‘এটা আমারও শেষ টি-টোয়েন্টি ছিল। এই সংস্করণ থেকে বিদায় নেওয়ার জন্য এর চেয়ে ভালো সময় আর হতে পারে না। প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করেছি। এই সংস্করণ দিয়েই ভারতের হয়ে খেলা শুরু করেছিলাম। এমনই চেয়েছিলাম। ট্রফি জিততে চেয়েছিলাম।’
দেশের হয়ে ১৫৯ টি-টোয়েন্টিতে ৫টি সেঞ্চুরি ও ৩২টি হাফ-সেঞ্চুরিতে ৪২৩১ রান করেছেন রোহিত। রান সংগ্রহের দিক দিয়ে সবার উপরে আছেন তিনি।